তাঁরা দু’জনেই ঘোষ। আর তাঁরা দু’জনেই যুযুধান প্রতিপক্ষ। তাই কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ। খোঁচা দেওয়ার সুযোগ পেলে তার সদ্ব্যবহার দু’জনেই করে থাকেন। হ্যাঁ, একজনের নাম দিলীপ ঘোষ। আর একজনের নাম কুণাল ঘোষ। দু’জনের পদবি একই ‘ঘোষ’। দু’জনেই রাজনীতি করেন। এতদিন তাঁদের সম্মুখসমরে বাদানুবাদ ছিল। এবার সেটা চলে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখন গরম পড়েছে। বিজেপি জোট সরকার শাসিত মহারাষ্ট্রে তীব্র জলসংকট দেখা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার হলেও এই ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সদ্য তাঁর বিয়ে হয়েছে। এই পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং পরামর্শ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প সেখানে চালু করতে পরামর্শ দেন। আর তাতেই তেতে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। বাংলায় ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প চালু করে সংকট কাটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেটাই এবার মহারাষ্ট্রের জলসংকট মেটাতে চালু করতে কুণাল পরামর্শ দিলেন দিলীপকে। কদিন আগে দিলীপ ঘোষ দলের এক মহিলা কর্মীকেই বিয়ে করেন। তাই তিনি চর্চায় রয়েছেন। এই আবহের মধ্যেই দিলীপ ঘোষকে এক্স হ্যান্ডেলে মহারাষ্ট্রের নাসিকের জলসংকটের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন। এমন একটি ফুলটস বল পেয়ে কুণাল ছক্কা হাঁকাতে ছাড়েনি। আর সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে খেলা শুরু।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ জামাইপাড়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী সিপিএম, জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল
মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে এনসিপি (অজিত পাওয়ার) শিবির জোট করে সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। সেখানেই জলসংকট দেখা দিয়েছে। তাতে মানুষের যে অসুবিধা হচ্ছে সেটাই তুলে ধরেন দিলীপ ঘোষ। এই ভিডিয়ো সংবাদসংস্থা এএনআই থেকে নিয়ে পোস্ট করেছেন দিলীপ। যার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, নাসিকে একটি কুয়োতে এক মহিলা পানীয় জল নেওয়ার জন্য দড়ি ধরে নীচে নামছেন। আর সেখানে অনেকেই কুয়োর ধারে ভিড় করে আছেন। পানীয় জল নেওয়ার জন্য। পানীয় জলের সংকট গরম পড়তেই দেখা দিয়েছে। দিলীপ ঘোষ সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। যা নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়।
এই সুযোগ পেয়েই পরামর্শ দিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ। বাংলাতেও বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় গ্রামবাংলায় জলসংকট দেখা দিত। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর ছবিটা পাল্টে গিয়েছে। বৃষ্টির জল ধরে রেখে পরে তা ব্যবহার করার উপযোগী করা হয় এখানে। সেই প্রকল্পের নাম ‘জল ধরো জল ভরো’। এখন পাইপলাইন দিয়ে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটাই দিলীপ ঘোষকে মনে করিয়ে দিয়ে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘জরুরি পোস্ট দিলীপ ঘোষের। গরম পড়তে না পড়তেই বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে জলসংকট। মহিলাদের গভীর কুয়োতে নামতে হচ্ছে। ওই সরকারকে বলুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার মতো ‘জল ধরো জল ভরো’ বা আরও নিবিড় জলসরবরাহ বা বাড়ি বাড়ি জলের প্রকল্প চালু করতে।’