শিয়ালদা শাখার সব ট্রেনেই অফিসটাইমে মারাত্মক ভিড় হয়। তার জেরে ঝুলে যেতে গিয়ে অনেকের দুর্ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। তারপর থেকে যাত্রীদের দাবি ওঠে, অবিলম্বে ট্রেনের বগি ১২ সংখ্যায় উন্নীত করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে রেল কথা দিয়ে ছিল, জুলাই মাসের পয়লা তারিখ থেকে শিয়ালদা ডিভিশনের সমস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন ১২ বগির হয়ে যাবে। কিন্তু আজ, সোমবার তা দেখা যায়নি। এটাকেই কথার খেলাপ বলে বিক্ষোভ দেখালেন নিত্যযাত্রীরা। কারণ কথা রাখেনি রেল। আজও শিয়ালদা শাখায় ৯ কামরার লোকাল ট্রেনই যাত্রীদের নিয়ে যাত্রা করল।
নিত্যযাত্রীরা আশা করেছিলেন, আজ ১ জুলাই থেকে ১২ বগির ট্রেনে সফর করতে পারবেন। তাতে ভিড়ও কম ঠেলতে হবে। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। এটা বুঝতে পেরেই ক্ষুব্ধ হন যাত্রীরা। শিয়ালদায় পৌঁছেই নিত্যযাত্রীরা এই কথার খেলাপের জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। এই নিয়ে শিয়ালদা শাখায় উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়। আজ, সোমবার ১১০টি রেকের মধ্যে ৩৮টি ছিল ৯ বগির। সেটাই ধরে ফেলেন নিত্যযাত্রীরা। ৯ বগির ট্রেনগুলিকে ১২ বগি করা হয়েছে। তার মধ্যে অনেকগুলি ১২ বগির হয়নি বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে রেলের তরফে।
আরও পড়ুন: ‘আমি আপনাকে রিসিভ করে বিধানসভায় নিয়ে আসব’, রাজ্যপালকে আহ্বান স্পিকারের
ইদানিং রেলের ওভারহেড তার ছিঁড়ে যাওয়া, দেরিতে চলা, যান্ত্রিক গোলযোগ হওয়া এবং দুর্ঘটনা হয়েই থাকে। এই নিয়ে নিত্যযাত্রীরা এমনিতেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাই ১২ বগির ট্রেনের দাবি উঠতে থাকে। সেই দাবি মানা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেখানে সপ্তাহের প্রথম দিনেই কৃষ্ণনগর–শিয়ালদা (৩১৮২০) ডাউন লোকাল ছিল ৯ বগির। তাই অফিসটাইমে প্রবল ভিড়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। এই ঘটনার পরই শিয়ালদায় পৌঁছে ক্ষোভ উগরে দেন ওই ট্রেনের যাত্রীরা। ৩১২২০ ট্রেনও আসে ৯ কামরা নিয়েই। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের অভিযোগ, ৯ বগির ট্রেনগুলি নৈহাটি–ব্যান্ডেলের মধ্যে চালানোর কথা ছিল।