কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছিল যে পশ্চিমবঙ্গে সব প্রকারের বাজি নিষিদ্ধ করা হবে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়কে খারিজ করে গ্রিন ক্র্যাকারের পক্ষে সায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই রায়ে ভেঙে পড়েছেন পরিবেশ কর্মী রোশনি আলি। এই রোশনি আলির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্ট সব প্রকারের আতসবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে সেই জয় শীঘ্রই দুঃখে পরিণত হয় সুপ্রিম রায়ে।সুপ্রিম রায়ের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হলে সংবাদমাধ্যমকে রোশনি আলি বলেন, 'আমি হেরে গিয়েছি। প্রকৃতিকে বাঁচানোর ইচ্ছে ছিল আমার। কয়েক মাস আগে অক্সিজেন না পেয়ে কতজন মারা গিয়েছে। ওঁদের কথা মনে রেখেই চেয়েছিলাম যাতে কালীপুজোয় বাতাস পরিচ্ছন্ন থাকে। আমার ইতিমধ্যেই অ্যালার্জি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বাজি পোড়াতে দিলে কি সমাজের জন্য তা মঙ্গলময়?'উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট সব ধরনের বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সোমবার সেই রায় খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বরং পরিবেশবান্ধব আতসবাজি ব্যবহারে ছাড় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। কালীপুজো ও দীপাবলিতে রাত ৮ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আতসবাজি পোড়ানো ছাড় দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোটের নির্দেশ কার্যকর করবে কলকাতা হাইকোর্ট ও রাজ্য সরকার। বাতাসে দূষণের মাত্রা শহরের কোথায় কী রয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে কোন এলাকায় কতক্ষণ পরিবেশবান্ধব আতসবাজি পোড়ানো যাবে। সেটা দেখেই তা স্থির করবে প্রশাসন।এদিকে পরিবেশবিদদের অভিযোগ, কোনও আতসবাজিই 100 শতাংশ পরিবেশবান্ধব নয়। পরিবেশবান্ধব আতসবাজিতে চলতি আতসবাজির থেকে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ দূষণের মাত্রা কম থাকে। তাই দূষণ হবেই। আর পশ্চিমবঙ্গে পরিবেশবান্ধব বাজির সরবরাহও নেই। আর এর জেরে করোনা আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা বৃদ্ধি পাবে।