আজি কর কাণ্ডে ফের একবার আন্দোলনে পথে নেমেছেন জুনিয়র চিকিসকরা। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেতেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ছিল এই দু'জনের বিরুদ্ধে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিতে পারেনি সিবিআই। এই বিতর্কের মাঝেই এবার সামনে এল আরও এক প্রশ্ন। দাবি করা হল, ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের আটতলার ওটি কমপ্লেক্সের একটি ঘর নাকি সিল করে রাখা আছে। কিন্তু কেন সেই ঘর সিল আছে, তা জানা নেই জুনিয়র চিকিৎসকরদের। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভোট কবে? বড় পরিকল্পনার কথা ইউনুসের উপদেষ্টার মুখে, মন্তব্য ভারত নিয়েও)
আরও পড়ুন: গ্রেফতার ৪, সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় অবশেষে পদক্ষেপ পুলিশের
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। তাহলে কেন আটতলার ঘর সিল করে রেখেছে সিবিআই? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, আরজি করের আটতলায় অর্থোপেডিক, পেডিয়াট্রিক, প্লাস্টিক সার্জারি, ইউরোলোজির অস্ত্রোপচারের জন্য চারটি ওটি ঘর রয়েছে। অর্থোপেডিক টেবিল ২-এর ঠিক উল্টোদিকের ঘর সিল করেছে সিবিআই। এই ঘরে নাকি ওটি-তে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, সলিউশন স্টোর করে রাখা হয়। (আরও পড়ুন: সংবিধান পরিষদ চেয়েছিল দেশে যাতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হয়: মোদী)
এদিকে সময়ের মধ্যে সিবিআই চার্জশিট জমা দিতে না পারায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় জামিন পেয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন নির্যাতিতার বাবা। এই ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররাও হতাশ হয়ে পড়েছেন। এই নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সিবিআই আগেই লিখে দিয়েছিল সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৯০ দিনের মধ্যেই যা করার করব। তদন্ত যে ঠিক মতো হয়নি তার প্রমাণ তো পাওয়াই গেল। সিবিআইয়ের উপর এবার হতাশ হচ্ছি। আমরা আদালতে যাব। আদালত ছাড়া তো আমাদের আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।’ আর জুনিয়র ডাক্তাররা আজ ফের পথে নেমেছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা গতকাল সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে যান।