আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। আর আজ, শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সিটি সেন্টার এলাকার মাঝ রাস্তা থেকে পাকড়াও করেছে সিবিআই। এই আবহে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার দুপুরে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন তিনি। এখান থেকেই সিপিএম–বিজেপির বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে আজ সকালে সিবিআই দফতরে এসে পৌঁছয় সাতজনের একটি সিবিআই টিম। তাঁদের হাতে ছিল থ্রিডি স্ক্যানার। এই স্ক্যানার নিয়েই সিবিআই দল আরজি কর হাসপাতালে যায়। সেখানে গিয়ে ডিজিটাল অভিডেন্স সংগ্রহ করে। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে সেমিনার হল অক্ষত আছে কিনা দেখে আসতে। সিবিআই যখন আরজি কর হাসপাতালে তখন মিছিলে হেঁটে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে হাঁটছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র, জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, শতাব্দী রায়, শর্মিলা সরকার এবং রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধায়ক লাভলি মৈত্র, অদিতি মুন্সি, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মঞ্চে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি এবং সিপিএমের হামলায় কোটি কোটি টাকার জিনিস নষ্ট হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে নামলেন বলে আমাদের নামতে হল। রবিবারের মধ্যে ফাঁসি চাই। উত্তরাখণ্ডে নার্সের ধর্ষণ–মৃত্যুর ৯ দিন পর দেহ মিলেছে। কিন্তু বাংলায় এসব হয় না।’
আরও পড়ুন: ‘দোষীদের ফাঁসি চাই’, একঝাঁক সাংসদদের নিয়ে আরজি কর কাণ্ডে বিরাট মিছিল মমতার
অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হলে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। সিবিআই তদন্তে সম্মতি আগেই জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কলকাতা পুলিশ তদন্তের সময় পায়নি। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে আজ রাজপথে হাতজোড় করে মিছিলে হেঁটে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্লোগান উঠল, ‘দোষীদের ফাঁসি চাই’। আর মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমি বলেছিলাম বাবা–মাকে, আমরা দোষীদের শাস্তি দেব। রবিবার পর্যন্ত সময় দিন। নয়তো সিবিআইকে দিয়ে দেব। সিপিএম–বিজেপি, আপনারা অপেক্ষা করতে পারতেন। পরিবারকে দোষ দিই না। আপনারা সময় দিলেন না। বরং আপনারা রাজনীতি করলেন। আমি এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। রবিবারের মধ্যে ফাঁসি চাই। মণিপুরে মহিলাদের যখন নির্যাতন করা হয়েছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকার ক’টা দল পাঠিয়েছে? সত্য ঘটনা সামনে আসুক। কিন্তু অসত্য প্রচার করবেন না।’