
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
আরজি করে চিকিৎসক খুনে ফের সিবিআই তদন্তে চেয়ে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। সেই মামলারই দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এই মামলার দ্রুত শুনানির কোনও প্রয়োজন নেই। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের পুনরায় তদন্ত সংক্রান্ত মামলায় তড়িঘড়ি শুনানির কোনও প্রয়োজন নেই। এই আবহে আগামী মার্চ মাসের ১৭ তারিখ শুনানি হবে সিবিআই তদন্ত সংক্রান্ত মামলাটির। (আরও পড়ুন: ২ বছর পর রেপো রেট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত RBI-এর, কমতে পারে EMI-এর বোঝা)
আরও পড়ুন: গাজা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্য ঠিক কী? বিতর্কের আগুনে জল পড়ছে, না ঘি?
এর আগেও আরজি কর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় নতুন করে তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তবে পরে সেই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন তাঁদের আইনজীবী করুণা নন্দী। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে মামলাটি শুরু করেছিল, তাতেই 'ইন্টারভেনশন অ্যাপ্লিকেশন' হিসেবে এই আবেদন করেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। সেই সময় দেশের শীর্ষ আদালতে আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের পক্ষের আইনজীবীকে জানান, কলকাতা হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে। এই অবস্থায় এই মামলাটির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হবে কি না, তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। (আরও পড়ুন: রতন টাটার সম্পত্তির কী কী পাবেন মোহিনী মোহন? দাবিতে 'গরমিল', তৈরি হবে বিতর্ক?)
আরও পড়ুন: মুজিবের বাড়ি ভাঙা নিয়ে মুখ খুলল ভারত, ইউনুসের 'হাসিনা অজুহাতের' পর দিল্লি বলল…
এই আবহে মামলাকারী পক্ষের আইনজীবীকে হলফনামা জমা দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে বলা হয়, ইতিমধ্যে আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তাকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দিয়েছেন শিয়ালদা দায়রা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। তাই সেই দিকটি মাথায় রেখে আদালতে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। পাশাপাশি তিনি পরামর্শ দেন, নির্যাতিতার বাবা-মা এবার নতুন করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারেন। পরে নির্যাতিতার মা-বাবার আবেদনটি প্রত্যাহার করা হয় শীর্ষ আদালত থেকে। (আরও পড়ুন: রতন টাটার ৫০০ কোটির সম্পত্তি পাওয়া মোহিনী মোহন দত্ত কে? কীভাবে পরিচয় দু'জনের?)
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক অনির্বাণ দাস। এদিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমনা দিতে হবে সঞ্জয় রায়কে। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি আদালতের তরফ থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩ (ধর্ষণ), ৬৪ (ধর্ষণের সময় এমন ভাবে আঘাত করা, যাতে মৃত্যু হয়), ১০৩ (১) নং (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এই আবহে সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০,০০০ টাকা জরিমানা, ৬৬ ধারায় আওতায় আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ১০৩ (১) ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবনের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে বিচারক নির্দেশ দেন, নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাষ্ট্রকে। বিচারক বলেছিলেন, এই মামলা বিরলের থেকে বিরলতম নয়।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports