এবার পথে নামল তৃণমূল বুধবার চাকরিহারা ইস্যুতে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামেন তাঁরা। এদিন মূলত তৃণমূলের ছাত্রযুবদের মিছিল কলকাতার বিভিন্ন রাস্তার পরিক্রমা করে। শাসকদলের মিছিলে লোকজন কিছু কম ছিল না।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কাছ থেকে শুরু হয়েছে মিছিল। তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষ সহ একাধিক নেতারা রয়েছেন।
দীর্ঘ মিছিল কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি আর সিপিএমের চক্রান্তেই এত শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে।
সোমবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, ৯ এপ্রিল দুপুর ৩টের সময় কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল হবে। এরপর ১১ এপ্রিল শুক্রবার প্রতিবাদ মিছিল হবে জেলায় জেলায়। প্রতিটি ব্লক, ওয়ার্ড, টাউনে এই মিছিল হবে।
এদিন মিছিলে বেরিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব, ডিআই অফিসের সামনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেন, ডিআই অফিসের তো ব্যাপার নয়। রাজ্য় সরকার চাইছে যে তাদের চাকরিটা যাতে পুনর্বহাল হয়। আমাদের আশা এটা ওরা বুঝবেন। শিক্ষকদের প্রতি সহমর্মিতা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। আর লাঠি চার্জ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে কখন কী পরিস্থিতিতে এটা হয়েছে সেটা পুরোটা না জেনে বলা যাবে না।
এদিকে তৃণমূলের মিছিলের আগেই কসবায় পুলিশের হাতে বেদম মার খেতে হয় চাকরিহারা শিক্ষকদের। চাকরিহারা শিক্ষকরা ডিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদেরকে লাঠিপেটা করে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, পুলিশকর্মীদের উপরে তাঁরা চড়াও হয়েছিলেন। এরপরই পুলিশ 'হালকা বলপ্রয়োগ' করে। আর চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশের দাবি পুলিশ এমন মারল যে মেরে লাঠি ভেঙে দিল। আর এখন বলছে হালকা বলপ্রয়োগ!
এদিকে তৃণমূলের মিছিল থেকে সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলা হয়।
তবে গোটা ঘটনায় বিভ্রান্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের একাংশের দাবি, আমরা মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছি। এমনকী এই চাকরি যাওয়ার পেছনে দায় সরকারের। সেক্ষেত্রে সরকারকেই দায়ী করছেন তাঁরা।
অন্যদিকে কসবার ঘটনা প্রসঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশের দাবি, পুলিশ লাথি মেরেছে। লাঠিচার্জ করেছে। আমরা পুলিশের উপর কোনও হামলা চালাইনি। সেই ধরনের কোনও ফুটেজ থাকলে আমাদের দেখান। তবে আমাদের উপর যে লাঠিচার্জ করা হয়েছে লাথি মারা হয়েছে তার ছবি আমাদের কাছে আছে।
তবে কলকাতা পুলিশের তরফে যে ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে লোহার দরজার উপর চেপে ভেতরে ঢুকছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।