কাসেম সিদ্দিকিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়ায় ২০২৬এর বিধানসভা নির্বাচনে মুসলিম ভোটের একাংশ হারাবে তৃণমূল। এমনই দাবি করলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এরকম দ্বিচারিতা লোকে মেনে নেবে না। ২০২৬এর নির্বাচনে ভয়ঙ্কর খেলা খেলবেন এরাজ্যের সংখ্যালঘুরা। এমনকী ISF আরও কয়েকটি আসন জিতে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।ত্বহা সিদ্দিকি বলেন, ‘কাসেম সিদ্দিকিকে তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যে মানুষটা তৃণমূলের নামে এত বাজে কথা বলেছে তাকে মাথায় তুলে দিল। মুসলিমরা এই দ্বিচারিতা মেনে নেবেন না। এতে তৃণমূলের ক্ষতি হল। আমার মনে হয় ভাঙড়ে ISF আবার জিতবে। তার বাইরে আরও দু’-চারটে আসন জিততেও পারে। ২০২৬ সালে সংখ্যালঘু মুসলিমরা রাজ্যে ভয়ঙ্কর খেলা খেলবে।’ত্বহার মন্তব্যের জবাবে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ‘মুসলিম বলুন বা হিন্দু, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প নেই। এটা সবাই বুঝে গিয়েছে। আর ফুরফুরা শরিফের পিরজাদারা কখন কার পক্ষে কথা বলেন কিছু বোঝা যায় না। ২০২৬এ মুসলিম ভোটের জোরে তৃণমূলের আসন আরও বাড়বে। বিজেপি যে ভাবে মুসলিমসহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকে অপমান করছে তাতে তারা আরও বেশি করে তৃণমূলকে ভোট দেবেন।’বলে রাখি, সম্প্রতি ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা কাসেম সিদ্দিকিকে সাধারণ সম্পাদকের পদ দিয়েছে তৃণমূল। এর পরই দলের একাংশে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর সমালোচক ছিলেন কাসেম। এখন তাঁর নেতৃত্ব মেনে নিতে নারাজ তৃণমূলের অনেকেই।