একবালপুরকাণ্ড নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতার পরামর্শ, নিজেরা যে রাজ্যগুলিতে ক্ষমতায় আছে, সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া উচিত বিজেপির।
সোমবার কুণাল বলেন, ‘নিজেরা যে রাজ্যগুলিতে ক্ষমতায় আছে, সবার আগে সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সামলানো উচিত বিজেপির। পশ্চিমবঙ্গ শান্তিপূর্ণ রাজ্য। কোনও ব্যক্তি যদি উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। একবালপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ ওঁদের (বিজেপির নেতাদের) আটকে দিয়েছেন। যখন হাথরাসে ধর্ষণের শিকার তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা দেখা করতে যাচ্ছিলেন, তখন উত্তরপ্রদেশে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছিল।’
একবালপুর-মোমিনপুরে কী হয়েছিল?
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আগে গোষ্ঠী সংঘর্ষে একবালপুর-মোমিনপুর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ করা হয়। দোকান ও বাইক ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার একবালপুর-মোমিনপুর এলাকায় আসছিলেন সুকান্ত। কিন্তু তাঁকে চিংড়িঘাটায় আটকে দেয় পুলিশ। পরে তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল-সন্ধ্যার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
রবিবার রাতে একটি ফেসবুক পোস্টে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘গত দু'দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে খিদিরপুর সংলগ্ন এলাকায় দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গাড়ি-সম্পত্তি-দোকান ভাঙচুর চলছে। জীবন বাঁচাতে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অনেকে। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকায়। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য থামাতে পুরোপুরি ব্যর্থ। অপদার্থ পুলিশমন্ত্রীর প্রশাসন যদি কিছু করতেই না পারে, তাহলে রাজ্যের উচিত কেন্দ্রীয় সহায়তা চাওয়া, আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।’
আরও পড়ুন: ওদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে সরকার, লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়ে ফের তোপ সুকান্তর
সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল লা গণেশনকে চিঠি লিখেছেন বলে দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক দাবি করেন, ‘একবালপুর থানা দখল করে নেওয়া হয়েছে। থানা ছেড়ে পালিয়েছে পুলিশ।’ তারইমধ্যে লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়ে সুকান্ত বলেন, ‘চিংড়িঘাটাতে কোনও ১৪৪ ধারা ছিল না। কেবলমাত্র মোমিনপুর ও সংলগ্ন জায়গায় ছিল।’