রাত পোহালেই বড়দিন। আর তার পরই নিউ ইয়ার। এই আবহে খাস কলকাতায় ঢুকে পড়ল কোকেন–সহ নিষিদ্ধ মাদক। যা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে কলকাতা পুলিশের। কারণ এই মাদক সেবন করেই বড়দিনের আনন্দ উপভোগ করতে চায় যুবক–যুবতীরা। আর এই মাদক বিক্রি করে মোটা টাকা রোজগার করতে চায় মাদক চক্রের পাণ্ডারা। এই মাদক কোথা থেকে আসছে এবং কাদের হাতে পৌঁছচ্ছে তা জানতে উঠে পড়ে লেগেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেই ঘুম ছুটেছে কলকাতা পুলিশের। কারণ এখন তা দেদার সরবরাহ হচ্ছে গোটা শহরে। যেহেতু রাত পোহালেই বড়দিনের উৎসব মেজাজের সঙ্গে পালিত হবে তাই সেখানে ঢুকে পড়ছে নিষিদ্ধ মাদক। হোটেল, রেস্তোরাঁয় এই মাদক সরবরাহ হচ্ছে। রেভ পার্টিতে দেদার সরবরাহ হচ্ছে নিষিদ্ধ মাদক। উৎসবের আবহে এবার মাদকচক্র অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাল কলকাতা পুলিশ। শহরের কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে নানা ধরনের নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করল পুলিশ। এমনকী মাদক পাচারের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রেম করে বিয়ের পর দেহব্যবসায় যুবতী, যৌনকর্মীর রহস্যমৃত্যুতে আলোড়ন কালনায়
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, সেই খবরের উপর ভিত্তি করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের নারকোটিক সেল শহরের দুই জায়গায় অভিযান চালায়। তখনই গোটা বিষয়টির পর্দাফাঁস হয়। এই দুই জায়গার মধ্যে একটি জায়গা হল পঞ্চসায়রের এক বহুতলের ১১ তলার একটি ফ্ল্যাট। যেখান থেকে রবিবার পারভেজ আলি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক। এমনকী কোকেনও তার কাছ থেকে মিলেছে।
এরপর ইএম বাইপাসের ধারে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার এক বাড়িতেও হানা দেয় কলকাতা পুলিশ। ওই ঠিকানার খবরও ছিল পুলিশের কাছে। তখন আর একজনকে গ্রেফতার করা হয়। যা কাছে বেশ কিছু নিষিদ্ধ মাদক ছিল। সেগুলি উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের নারকোটিক সেল। পুলিশ সূত্রে খবর, লিলুয়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ রায় ওরফে অর্ঘ্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই দুই ঘটনার সঙ্গে কোনও বড় মাদকচক্রের যোগ আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেরায় এই দু’জন জানিয়েছে, মাদক পাচার করতেই তারা তা নিয়ে এসেছিল। বেশ কিছু কলেজের ছাত্রছাত্রী তা চেয়েছিল। তবে তাদের ঠিকানা জানা নেই।