রাজ্য খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে, গরিব মানুষেরজন্য কেরোসিন অত্যন্ত প্রয়োজন। রাজ্যের বহু মানুষ এখনও কেরোসিনের উপর নির্ভরশীল। দাম বৃদ্ধির পরেও অক্টোবর–নভেম্বরে প্রতি মাসে ১৩ হাজার কিলোলিটার কেরোসিন রেশন গ্রাহকরা নিয়েছেন।
কেরোসিন বন্টনে বাংলাকে বঞ্চনা।
আবার বঞ্চনা করা হল বাংলাকে। রেশন গ্রাহকদের জন্য কেরোসিন বন্টনে বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করল রাজ্য সরকার। এমনকী বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিও করা হয়েছে। রাজ্য খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। খাদ্য দফতরের সচিব পারভেজ আমেদ সিদ্দিকি চিঠি পাঠিয়েছেন।
ঠিক কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? এই চিঠিতে লেখা হয়েছে, প্রতিবেশী অসম, বিহার, ওড়িশার থেকেও কম পরিমাণ কেরোসিন দেওয়া হচ্ছে বাংলাকে। রাজ্যগুলিকে তিন মাসের জন্য কেরোসিনের পরিমাণ নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি আর্থিক বছরেও বাংলার জন্য তিন মাসের বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কিলোলিটার। কিন্তু গত অক্টোবর মাসে সেটা অর্ধেক কমিয়ে ৮৮ হাজার কিলোলিটার করা হয়। জানুয়ারি মাস থেকে বরাদ্দ আরও কমিয়ে করা হয়েছে ২২ হাজার ৩৫৬ কিলোলিটার। রাজ্যের বরাদ্দ প্রায় ৮৭ শতাংশ কমানো হয়েছে। তাই বরাদ্দর পরিমাণ অন্তত ৬০ হাজার কিলোলিটার করতে অনুরোধ করা হয়েছে।