বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা চলছিল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিছুতেই সেখানে সমাধান করা যাচ্ছিল না। অবশেষে অপসারিত হলেন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তী। আর তাঁকে অপসারণ করেন বাংলার রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাহলে কি এই পথেই স্থায়ী সমাধান? উঠছে প্রশ্ন। এখানে উপাচার্যের বিরুদ্ধেই দিনের পর দিন আন্দোলন চলছিল। সেই আন্দোলনের দু’মাস পরেই অপসারিত হলেন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী।
কোন ঘটনার পর অপসারিত উপাচার্য? সূত্রের খবর, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার রাজ্যপালের এক অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য–সহ আন্দোলনকারীদের ডাকা হয়েছিল কথা বলার জন্য। কিন্তু উপাচার্য আসেননি। সুতরাং সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে মেটেনি। তবে আন্দোলনকারীরা এসেছিলেন। উপাচার্যের বিরুদ্ধে তাঁরা একগুচ্ছ অভিযোগ করেন। তখনই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ করা হয়। আর সে কথা ই–মেল মারফত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পৌঁছয়। আর তাতেই খুশি আন্দোলনকারীরা।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছিল? গত ১৪ মার্চ আন্দোলন শুরু হয়। উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ব্যাপক আন্দোলনে নামেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, অফিসার এবং ছাত্রছাত্রীরা। এই আন্দোলন বিশেষ মাত্রা পায় স্বয়ং রেজিস্ট্রার যুক্ত হয়ে যাওয়ায়। তাই উপাচার্য গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যত একা হয়ে যান। তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠতে শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করেছিলেন উপাচার্য। তাতে আরও হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার তাঁর পদ ফিরে পান। ফলে ব্যাকফুটে যেতে হয় উপাচার্যকে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহু মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করা, তার কোনও হিসাব না দেওয়া, বহু শিক্ষক–শিক্ষিকা অনিয়মিত হলেও তাঁদের নিয়মিত বেতন দেওয়া–সহ মোট ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।