তিনি বলেছিলেন, এই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়বেন। বুধবার ১০ মিনিটের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে এসেছিলেন তিনি। আর এই কথা বলেছিলেন। আজ, বৃহস্পতিবার তিনি অনুপস্থিত থাকলেন কলকাতা হাইকোর্টে। অনেকেই উঁকিঝুকি মারলেন। কিন্তু তাঁর দেখা পেলেন না। যাঁকে নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের দানা বেঁধেছে। হ্যাঁ, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এখন তাঁর কী হয়? তাই সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সবাই। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ কোন দিকে গড়ায় এখন সেটাই দেখার।
এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার নিয়ে বিতর্কের দানা বেঁধেছে। সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে হলফনামা আকারে রিপোর্ট তলব করেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বেঞ্চে শুক্রবার সেই রিপোর্ট পেশ করার কথা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট দু’দিন আগে জানিয়ে দেয়, কোনও বিচারপতির এজলাসে চলতে থাকা মামলা সম্পর্কে যদি তিনি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন, তাহলে ওই সব মামলা তাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়াই ভাল।’ এখন দেখার যে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার জেরে একের পর এক রায় দিয়ে আইকন তৈরি হয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর কাছ থেকে সেই মামলাগুলি সরিয়ে নেওয়া হয় কিনা।
অন্যদিকে দু’দিন আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে বসে বলেছিলেন, তাঁর সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টকে ভুল বোঝানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে ভুল বোঝানো যায় বলে বাংলার মানুষ মনে করেন না। সেখানে আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্টের রিপোর্ট দেখে সর্বোচ্চ আদালত কোন পথে হাঁটে সেটা দেখার বিষয়। এই রায় বা নির্দেশের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। সেখানে বৃহস্পতিবার সারাদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় না আসায় নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। আগেই রটে গিয়েছিল, তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন। কিন্তু পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি।