যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর হামলা চালানো এবং অধ্যাপকদের উপর ছাত্রদের চড়াও হওয়ার জেরে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার মধ্যে একজন হলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। যাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হতে হয়েছিল। আজ, রবিবার উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন। এই হাসপাতালে থাকাকালীন বৈঠক হয়েছে রাজভবনে। রাজ্যপাল তথা আচার্য সেদিন সব উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। কিন্তু অসুস্থ থাকার জন্য তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারেননি। এখন চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে তাঁকে। কারণ তিনি এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ নন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে না ওঠায় আপাতত কারও সঙ্গে দেখা সাক্ষাত্ করতে পারবেন না তিনি। কোনও বৈঠক পর্যন্ত করতে পারবেন না। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এই পরামর্শ নিয়ে। আগামী ১৫ দিন তাঁকে বাড়িতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিত্সকরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তের প্রথমে বাড়িতেই চিকিত্সা চলছিল। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় উপাচার্যকে। গত বুধবার ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। আজ, রবিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও উপাচার্য এখনও সংকটমুক্ত নন বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনাঝুরির হাটে এবার পালিত হবে না বসন্ত উৎসব, শান্তিনিকেতনে কেন এমন ফরমান?
অসুস্থ থাকাকালীন আন্দোলনকারী ছাত্ররা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। ওই দেখা আসলে নিতান্তই সৌজন্য। হাসপাতালে চিকিৎসার পর এখন উপাচার্য কেমন আছেন? এই বিষয়ে তাঁর স্ত্রী কেয়া গুপ্ত বলেন, ‘আজ তো সবে হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছি। এভাবে ভাল কি থাকা যায়! বলুন তো। বাড়িতে বিশ্রামে থাকবে। ১৫ দিন বেড রেস্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া এখন সম্ভব নয়।’ ইতিমধ্যেই সৃজন ভট্টাচার্য, ইদ্রানুস রায়, ওমপ্রকাশ মিশ্র এবং শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চালককে ডিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ। আরও কয়েকজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে সূত্রের খবর।