বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Firhad on communal charges: ইসলাম মানি, দুর্গাপুজো-কালীপুজোও করি! BJP-র ‘সাম্প্রদায়িক’ অভিযোগে চটলেন ফিরহাদ
পরবর্তী খবর
‘যাঁরা মূর্খ, তাঁরা আমায় সাম্প্রদায়িক বলেন’- বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে, সেটার প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম। শনিবার কলকাতা পুরনিগমের ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ বলেন,'আমি আমার নিজের ধর্ম মানি। আমি দুর্গাপুজো করি। কালীপুজো করি। যাঁরা মূর্খ, তাঁরা আমায় সাম্প্রদায়িক বলেন।’
আসলে ফিরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এবং বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি ভিডিয়ো (ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেন। ফিরহাদের বিরুদ্ধে ‘বিভাজনকারী’ মন্তব্য করার অভিযোগ তোলেন।
ফিরহাদ কী বলেছেন?
সেই বিষয়টি নিয়ে শনিবার কলকাতা পুরনিগমের ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদ বলেন, ‘আমি বিজেপির কোনও…..শুনুন কে অমিত মালব্য, জানি না। আপনারা যদি মনে করেন যে আমি সাম্প্রদায়িক হতে পারি, তাহলে ধন্যবাদ।'
তারপর ফিরহাদ পালটা প্রশ্ন ছোড়েন, ‘আপনার মনে হয় যে আমি সাম্প্রদায়িক হতে পারি? ইয়েস অর নো - চেঁচিয়ে (বলুন)? নো। সুতরাং বিজেপি কী করছে, (সেটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই)। ও **** গেলে, ওর *** আমি পা দেব না। আমি আমার নিজের ধর্ম মানি। আমি দুর্গাপুজো করি। কালীপুজো করি। যাঁরা মূর্খ, তাঁরা আমায় সাম্প্রদায়িক বলেন। নো কোয়েশ্চনস।’
সুকান্তদের ভিডিয়োয় কী ছিল?
সুকান্ত যে ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেন, তাতে একজন ব্যক্তিকে মাইকের সামনে দেখা যায়। সেখানে দেখা যায় যে ওই ব্যক্তি কিছু কথা বলছেন। তাঁর পিছনে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন। সুকান্তের দাবি, ভিডিয়োয় যে ব্যক্তিকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে, তিনি হলেন ফিরহাদ। আর ভিডিয়োয় যে কথাগুলো শোনা যায়, সেগুলি ফিরহাদই বলেছেন বলে দাবি করেছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সুকান্তের পোস্ট করা ভিডিয়োয় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) সম্ভবত বক্তব্যের পুরো অংশ ছিল না। মাঝেমধ্যে কয়েকটি ‘কাট’ দেখা গিয়েছে। তারইমধ্যে সুকান্তের পোস্ট করা ৪২ সেকেন্ডের ভিডিয়ো চালাতে শোনা যাচ্ছে, ‘যাঁরা দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মেছে, যাঁরা ইসলাম নিয়ে জন্মাননি, তাঁদেরও দাওয়াত-এ-ইসলাম...অর্থাৎ ইসলামে দাওয়াত দিয়ে তাঁদের মধ্যে ইমান নিয়ে আসলে আল্লাহ-তালাকে খুশি করা হবে। ইসলাম ধর্মাবলম্বী নন, তাঁদের মধ্যে ছড়াতে হবে।’
সেইসঙ্গে ওই ভিডিয়োয় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) শোনা গিয়েছে, ‘....শক্তিশালী মনে হয়, যখন দেখি সবাই এখানে টুপি পরে আছেন, হাজার-হাজার মানুষ বসে আছেন, তখন মনে হয় ইসলামের ঐক্য একটা জায়গায় আছে, যেখানে কেউ কোনওদিন আমাদের দমাতে পারবে না।’