দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার হল নিহত বধূর দেহ। বধূর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে সরব হয়েছেন পরিজন ও প্রতিবেশীরা। বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডোমজুড়ের কেশবপুর এলাকার ঘটনা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্বামীকে।নিহত মধুমিতা দাসের সঙ্গে তাপস দাসের বিয়ে হয়েছিল ১২ বছর আগে। দম্পতির ৯ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা অছিলায় স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করতেন তাপস। পরিবারে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত। মঙ্গলবারও দম্পতির মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। তার পর থেকে মধুমিতাদেবীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বধূর খোঁজে থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার। তার পরও তাঁর সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে পুকুরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।পরিজন ও প্রতিবেশীদের দাবি, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে খুন করে ভাসিয়ে দিয়েছে স্বামী তাপস। ডোমজুড় থানায় তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। ওদিকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। মধুমিতাদেবীর ছেলের কাছ থেকে মায়ের মৃত্যুর ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।নিহতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়েটা সুখে ছিল না। নানা কারণে জামাই অশান্তি করত। আমরা অনেকবার বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। কয়েকদিন চুপচাপ থাকলেও ফের অশান্তি শুরু করত। কিন্তু ও যে মেয়েকে মেরে ফেলতে পারে একথা কল্পনা করতে পারিনি।