দিল্লির মসনদ দখল হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর শপথও হয়ে গিয়েছে। জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এখন টানটান ক্লাইম্যাক্স। আপ ভাঙে কিনা নাকি নতুন লড়াই দেয় সেটাও এখন লক্ষ্যণীয় বিষয়। এই আবহে বাংলায় সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের তাই এখন থেকে ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠেছে। কারণ হাতে বেশি সময় নেই। শাহকে অভ্যর্থনা জানানোর পাশাপাশি সংগঠন নিয়ে যে হোমওয়ার্ক দেওয়া ছিল তাও প্রস্তুত রাখতে হবে। বাংলার দলীয় সংগঠনে এখন থেকে জোর দিতে চায় বিজেপি।
আজ, বৃহস্পতিবার রামলীলা ময়দানে শপথ নেন দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী। এবার কদিন পরই ঘোষণা করা হবে বঙ্গ–বিজেপির নতুন সভাপতির নাম। আর শীঘ্রই বঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সদস্য সংগ্রহ অভিযান লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক আগেই থেমে গিয়েছে। আর সংগঠন এখনও মজবুত হয়নি। সেই রিপোর্ট তিনি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসলের কাছ থেকে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখনও লেগে রয়েছে। সেটা আবার সরাসরি শুভেন্দু অধিকারী বনাম সুকান্ত মজুমদারের মধ্যেও দেখা গিয়ে ছিল। যা প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে পদ্ম–নেতাদের। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী নয়াদিল্লি গিয়ে অমিত শাহের বাসভবনে বৈঠক করেছেন। তারপর অমিত শাহের এই বঙ্গ–সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ‘পরিষেবা দেবে রাজ্য আর উপাচার্য ঠিক করবে কেন্দ্র!’, বিধানসভায় বড় ঘোষণা ব্রাত্যর
এখানে এসে বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অমিত শাহ বলে বিজেপি সূত্রে খবর। যা নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে। বিজেপির নেতাদের দাবি, এতদিন দিল্লি ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। রাজধানীতে নতুন সরকারের শপথগ্রহণ পর্ব মিটে গিয়েছে। তাই এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। এখন তাঁরা নানা রাজ্যে সাংগঠনিক বিষয়ে আরও বেশি নজর দেবেন। তাই বাংলায় আসার পরিকল্পনা আছে। আগামী ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। সেখানে যাতে ফল ভাল হয় তার জন্য সংগঠন মজবুত হওয়া প্রয়োজন। শুভেন্দু অধিকারী যতই অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে আসুন এই কেন্দ্রীয় বৈঠকে সব সামনে চলে আসবে। সুতরাং বাংলার মাটিতে এবার হাইভোল্টেজ বৈঠক হতে চলেছে।