একেবারে সস্তা হয়ে গিয়েছে ফুলকপি। এবার শীতের শুরুতে ফুলকপির দাম ছিল ২৫-৩০ টাকা করে। আর এখন সেই ফুলকপি ৮-১০ টাকাতেও মিলছে। দরাদরি করলে তার থেকেও কম দাম হয়ে যেতে পারে খোলা বাজারে। চাষিদের আরও কম দামে ফুলকপি বিক্রি করতে হচ্ছে। এর জেরে কৃষকদের চাষের খরচও মিলছে না। এমনকী পরিস্থিতি এমন দিকে গিয়েছে যে একাধিক চাষি ফুলকপি বিক্রি না করে ফেলে দিচ্ছেন। কারণ এত সস্তায় ফুলকপি বিক্রি করে আখেরে তাদের লাভের লাভ কিছু হবে না। তবে এবার কৃষকদের অভাবী বিক্রি রুখতে বিশেষ উদ্যোগ নিল কৃষি বিপণন দফতর।
এবার সবজির ফলন ভালোই হয়েছে। তবে চাষিদের যাতে এই শীতকালীন সবজির অভাবী বিক্রি করতে না হয় সেকারণে সেই শীতকালীন সব্জি কিনে নিচ্ছে কৃষি বিপণন দফতর। চাষিদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া সব্জি বিক্রি করা হবে সুফল বাংলার স্টলে। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এনিয়ে জানিয়েছেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, পাঁচ টাকা পিস করে ফুলকপি কেনা হচ্ছে চাষিদের কাছ থেকে। তবে সেই ফুলকপি টাটকা হতে হবে। আর সেই ফুলকপির সাইজ ভালো হতে হবে।
মঙ্গলবার পূর্বস্থলী ১ কিষান মান্ডিতে কৃষকদের থেকে সরাসরি সব্জি কেনার এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সব মিলিয়ে টার্গেট ছিল দু হাজার ফুলকপি কেনার। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তবে শুধু ফুলকপি নয়, অন্যান্য সবজিও কেনা হচ্ছে চাষিদের কাছ থেকে। তার মধ্য়ে পেঁয়াজকলি, বেগুনও রয়েছে।