একুশের জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ থেকে প্রতিবেশী দেশের পাশে থাকার কথা বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরা উত্তাল হয়েছে পরিস্থিতি। তাই ওখান থেকে ভারতের নাগরিকরা ফিরে আসছেন। বাংলার মানুষজন যাঁরা ওখানে ছিলেন তাঁরাও ফিরে আসছেন। এই বিষয়ে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বলেছিলেন, প্রতিবেশী দেশের মানুষজন যদি আশ্রয় চান এবং তার জন্য দরজায় কড়া নাড়েন তাহলে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। এবার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ চার বিধায়কের শপথ নিয়ে কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না রাজ্যপালকে, অথচ যে বক্তব্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রেখেছেন তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করে বসলেন। রাজভবন বনাম নবান্ন সংঘাত দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এবার সরাসরি রাজ্যপাল–মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আসলে ১৯৫১ সালে গৃহীত রাষ্ট্রসংঘের রিফিউজি কনভেনশনের প্রস্তাব এবং ১৯৬১ সালের প্রোটকলের কথা বলতে চেয়েছেন। যেখানে রিফিউজির সংজ্ঞা এবং তাদের প্রতি অন্য দেশের করণীয় সম্পর্কে বলা আছে। সেখানে বলা আছে, কোনও ব্যক্তি কোনও দেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে অন্য একটি দেশে আশ্রয় চাইলে কোনও অবস্থাতেই তাঁকে তাঁর আগের দেশে জোর করে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: চার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের ঝাঁঝালো বক্তব্যে সরগরম সংসদ, কী দাবি তুললেন তাঁরা?