বাঘাযতীনে বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় হরিয়ানার একটি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে কলকাতা পুরসভা। গ্রেফতার করা হয়েছে সংস্থার ৩ কর্মীকে। এবার সেই হরিয়ানারই অন্য একটি সংস্থার কাছ থেকে হেলে পড়া বাড়ি সোজা করার পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ করলেন খোদ মেয়র ফিরহহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বিল্ডিং বিভাগের ডিজিকে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে সংস্থাটি। প্রশ্ন হল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়সহ তাবড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ছেড়ে হরিয়ানার সংস্থাকে কেন পরামর্শ দেওয়ার জন্য ডাকলেন ফিরহাদ? আর ডাকলেনই তো কেন হরিয়ানারই অন্য সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে খেটে খাওয়া কয়েকজন শ্রমিককে কেন গ্রেফতার করালেন তিনি?
কলকাতা শহরে আবিষ্কার হচ্ছে একের পর এক হেলে পড়া বাড়ি। অধিকাংশ বাড়িই হেলে পাশের বাড়ির ওপর বিপজ্জনকভাবে রয়েছে। বিপদ হলে একসঙ্গে ধসে পড়তে পারে ২টি বাড়িই। কী করে এই ধরণের হেলে পড়া বাড়িকে সোজা করা যায় সেজন্য হরিয়ানার একটি বেসরকারি সংস্থার কর্ণধার রামেশ্বর সিসোদিয়ার সঙ্গে বুধবার কলকাতা পুরসভায় নিজের ঘরে বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। এর পর তিনি এব্যাপারে ডিজি বিল্ডিং উজ্জ্বল সরকারকে রিপোর্ট দিয়ে গোটা পদ্ধতি জানাতে বলেন। সেই মতো শুক্রবার বেসরকারি ওই সংস্থার রিপোর্ট জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাতে হেলে পড়া ভবন সোজা করার পদ্ধতি জানানো হয়েছে।
হরিয়ানার সংস্থার সঙ্গে ফিরহাদের বৈঠকের পর প্রশ্ন উঠছে তাহলে বাঘাযতীন বিপর্যয়ের পর কেন একই রকম অন্য একটি সংস্থার ৩ কর্মীকে গ্রেফতার করা হল? জনরোষ থেকে বাঁচতেই কি বলির পাঁঠা করা হয়েছে ওই ৩ শ্রমিককে?