ইডির অফিসাররা জানতে পারেন, যে সংস্থার নামে এই ট্রেনিং সেন্টারটি চলত, সেটি হল—মিনার্ভা এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এই সংস্থার অন্তর্গত একাধিক ডিএলএড কলেজ রয়েছে। এই অফিসে হানা দিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে এসেছে। মহিষবাথানে ইডির অভিযানে ওই অফিসের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন মানুষজনও।
Ad
তালা ভেঙে অফিসের ভিতরে ঢোকেন অফিসাররা।
আজ, শনিবার সকালে ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হয় মানিক ভট্টাচার্যের মহিষবাথানের অফিসে। এদিন তদন্তকারী দল কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় মহিষবাথানের একটি অফিসের সামনে। এই অফিস ঘরটি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যের এক ঘনিষ্ঠের নামে নেওয়া ছিল। তবে অফিসটির চাবি পাওয়া যায়নি। তাই তালা ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এই অফিস ভাড়া নিয়ে টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন মানিকের ঘনিষ্ঠ। যদিও গত দু’মাস আগে হঠাৎ এই অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরিয়ে নেওয়া হয় ট্রেনিং সেন্টার লেখা বোর্ডও।
কেমন করে খুলল অফিস? আজ ইডি অফিসাররা ট্রেনিং সেন্টারের সামনে পৌঁছে যান সকালে। যদিও চাবি না পেয়ে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। বাড়ির মালিকের কাছেও চাবি ছিল না বলে জানানো হয়। অবশেষে একজন চাবিওয়ালাকে ডেকে নিয়ে এসে শাটারের তালা ভেঙে অফিসের ভিতরে ঢোকেন অফিসাররা। সেখানে একাধিক নথি খতিয়ে দেখে বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ফর্ম, ছবি, স্ট্যাম্প–সহ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছেন ইডি অফিসাররা। আলমারিতে থাকা ফাইল খুলেও দেখেন তাঁরা।