এবার আরও চওড়া হবে ইএম বাইপাস। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বাইপাসে মেট্রোপলিটাল এলাকায় দক্ষিণমুখী সড়কটি আরও চওড়া হয়ে পাঁচ লেনের হ চলেছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই এই কাজ হবে। বর্তমানে বাইপাসের এই দক্ষিণমুখী রাস্তাটি তিন লেনের। তাতে আরও দু'টি লেন জুড়বে। জানা গিয়েছে ময়লাখালের ওপর দিয়ে একটি লোহার ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। সেই ব্রিজটি ৫৫ মিটার দীর্ঘ এবং ৬ মিটর চওড়া হবে। এই ব্রিজের কাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনের পিলারের ভিত ঘেঁষে সেই ব্রিজটি তৈরি হচ্ছে। এই ব্রিজ তৈরি হলেই মেট্রোপলিটান দক্ষিণমুখী লেনটি কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের হাতে তুলে দেবে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। এরপর রাস্তা দিয়ে ৪টি লেনে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এবং তাছাড়াও দু'চাকার বাইক বা স্কুটার চলাচলের জন্যেও জায়গা থাকবে। (আরও পড়ুন: তৈরি হবে গভীর নিম্নচাপ, বাংলার কোন জেলায় হবে বৃষ্টি? জানুন আবহাওয়ার পূর্বাভাস)
আরও পড়ুন: আশায় বুক বেঁধে থাকা সরকারি কর্মীরা খেলেন জোর ধাক্কা, প্রকাশ্যে নয়া আপডেট
উল্লেখ্য, গোটা শহরের মধ্যে অন্যতম ব্যস্ত ক্রসিং হল এই মেট্রোপলিটান। এবং গোটা বাইপাস সড়কের এই অংশটি বেশ সংকীর্ণ। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মেট্রোপলিটানের দক্ষিণমুখী লেন দিয়ে দৈনিক ৮.৮ লাখ গাড়ি চলাচল করে। এদিকে মেট্রোপলিটানে বাইপসের উত্তরমুখী লেন আবার ৬ লেনের। সেই লেনটি ২৩ মিটার চওড়া। (আরও পড়ুন: আদানির বাড়িতে তলব নোটিশ মার্কিন SEC-র, ঘুষ কাণ্ডে এবার কী করবেন গৌতম?)
আরও পড়ুন: মিটবে বকেয়া ডিএ-র 'জ্বালা', শীঘ্রই ১৮৬% 'লাভ' হবে সরকারি কর্মীদের?
এদিকে ইএম বাইপাসের উপর মেট্রোপলিটন ক্রশিং থেকে মহিষবাথান পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই মতো কোম্পানিগুলির কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। তবে সূত্রের খবর, একটা মাত্র কোম্পানি সেই নির্মাণকাজে আগ্রহ প্রকাশ করেছ। সেটা হল লারসেন অ্যান্ড টুব্রো। কিন্তু যতটা প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল তার থেকে বেশি দরপত্র জমা দিয়েছে তারা। সব মিলিয়ে ৭.১ কিমি লম্বা হবে এই ফ্লাইওভারটি। (আরও পড়ুন: ফের আগুন কলকাতায়, উল্টোডাঙায় রেললাইনের পাশের বস্তির পড়ুল একাধিক বাড়ি)
আরও পড়ুন: হাসপাতালে নার্সদের মারধর, নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠার পর নড়েচড়ে বসল পুলিশ, ধৃত ৯
এদিকে তিন বা তার অধিক সংখ্যায় সংস্থা যদি নিলামে অংশ না নেয়, তাহলে সাধারণত বড় প্রকল্পের কাজের বরাত দেওয়া হয় না। এই আবহে কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আপাতত রাজ্যের অর্থ দফতরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত না এলে নির্দিষ্ট কোনও কোম্পানিকে এই কাজের জন্য নিয়োজিত করা যাচ্ছে না। এদিকে এই ফ্লাইওভার তৈরি হলে নিউটাউন ও সেক্টর ফাইভের মধ্য়ে যাতায়াতের আরও সহজ হবে। শেষ পর্যন্ত কাজ কবে থেকে শুরু হয়, কারা এই ফ্লাইওভার তৈরির বরাত পায় সেটাই দেখার।