বৃহস্পতিবার রাজভবনের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বেআইনিভাবে রাজ্য সরকার সিন্ডিকেট বৈঠক না করার কথা বলেছিল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয়কে সিন্ডিকেট বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। সংঘাতের বাতাবরণ আবার বাড়তে শুরু করেছে বলে খবর।
সিভি আনন্দ বোস-ব্রাত্য বসু।
আবার একক সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। আর তা নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সুতরাং সংঘাতের বাতাবরণ আবার তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যপালের একক সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও কড়া অবস্থান নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, সিন্ডিকেটের বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য সরকারের আপত্তি উড়িয়ে এই বৈঠক চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। এবার আইনি পথে যাবার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এতদিন উপাচার্য নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছিল। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে সেটা এখন ঠাণ্ডা হয়েছে। এবার আবার একটা একক সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের। আর তা নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। এমনকী রাজ্যপালের এই কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি রাজ্য সরকারকে এভাবে অগ্রাহ্য করার স্পর্ধা পান কী করে? উনি তো মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলছেন এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আমি জানি না কীভাবে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত উনি নিচ্ছেন। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। আইনি পরামর্শও নেব।’
এদিকে গত ৪ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বৈঠক হয়েছিল রাজভবনে। সেই বৈঠক ছিল স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে। আর ওই বৈঠক শেষে রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ভাল আলোচনা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত যে এখনও জারি আছে সেটার ইঙ্গিত আবার মিলল। যে বৈঠক করতে রাজ্য সরকার নিষেধ করেছিল সেই বৈঠকেরই অনুমতি দিয়ে বসেছেন রাজ্যপাল। আর তা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাজভবনের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বেআইনিভাবে রাজ্য সরকার সিন্ডিকেট বৈঠক না করার কথা বলেছিল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয়কে সিন্ডিকেট বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানও উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশে বাতিল করা হচ্ছিল। কিন্তু রাজ্যপালের নির্দেশে সমাবর্তন হয়েছে। এইসব কারণে সংঘাতের বাতাবরণ আবার বাড়তে শুরু করেছে বলে খবর।