কোভিড বিধি মেনে যাতে কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন করানো যায়, তার জন্য নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করল পুরনিগম। এদিন পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে ঘাট পরিদর্শন করে দেখেন তিনি। ঘাটের পাশেই রেলট্র্যাক। সেই রেলট্র্যাকের পাশে ভেঙেচুড়ে যাওয়া অংশ নিয়ে উদ্বিগ্ন পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার।
কলকাতার বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শনের পর কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার জানান, ‘প্রতি বছরের মতো এই বছরও বড় বড় ঘাটগুলিতে ক্রেন ও পেলোডার ব্যবহার করা হবে। জোয়ারের সময় যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, বড় বড় ঘাটগুলিতে রিভার ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নিরঞ্জন করতে আসা প্রতিটি সদস্যের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিন থেকে চারটির বেশি ঠাকুর একসঙ্গে ঘাটের ভিতর প্রবেশ করা যাবে না।’
একইসঙ্গে তিনি জানান, গোয়ালিয়র ঘাটের পাশ দিয়ে রেল ট্র্যাক রয়েছে। সেখানে বেশ কিছুটা জায়গা ভেঙে গিয়েছে। রেলের ট্র্যাকের ওপর দিয়ে ঠাকুরকে নিরঞ্জনের জন্য নিয়ে যেতে হবে। রেলের সঙ্গে কথা বলে সেই সব জায়গা যাতে বিজয় দশমীর আগেই সংস্কার করা যায়, সেই ব্যবস্থা করব। এই সংস্কারের কাজ রেলকেই করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাতে এই সংস্কার করা যায়, সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।’ তিনি জানান, গার্ডেনরিচ থেকে রতনবাবুর ঘাট পর্যন্ত সব ঘাটেই নিরঞ্জন হবে। সবথেকে বেশি নিরঞ্জন হয় বাজে কদমতলা ঘাটে। বাজে কদমতলা ঘাটে ৪ দিন নিরঞ্জন হবে। শুধু এই ঘাটেই কম করে হলেও হাজারটি ঠাকুর নিরঞ্জন হবে। যেখানে বেশি ঠাকুর নিরঞ্জন হবে, সেখানে ক্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।