যথেষ্ট পরিমাণে সিলিন্ডার মজুত থাকার সত্ত্বেও কেন এরাজ্যে এতটা অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিল? এর নেপথ্যেই বা কারণ কী? সেই তথ্যগুলোই খোলসা করে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বার বার দাবি করছেন, এ রাজ্যে যে পরিমাণে অক্সিজেন উৎপাদন হয়, বা তাদের কাছে মজুত আছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট। শুধু তাই নয়, তাঁরা অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতেও সক্ষম।
মানসবাবুর দাবি, মানুষের এই আতঙ্ক কাটানোর দায়িত্ব কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনের।
আগাম আঁচ না—পাওয়ায়, এবার প্রায় সব পক্ষেরই পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল। ফলে, ডিলাররাও বাড়তি সিলিন্ডারের বরাত দেননি। তার উপর আতঙ্কে বাড়িতে বা কতিপয় হাসপাতালেও সিলিন্ডার মজুত করার প্রবণতার কারণে সিলিন্ডার আটকে গিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে সিলিন্ডার তৈরি হয় না। মূলত এখানকার ডিলারেরা তা উত্তর ভারত থেকেই আনেন। সম্প্রতি বাড়তি সিলিন্ডারের বরাত দেওয়া হলেও স্বাভাবিক ভাবেই তা সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এক্ষেত্রে যে বাড়তি পুঁজির দরকার হয়, তারও কিছুটা সমস্যা রয়েছে। কিছু বড় উৎপাদনকারী সংস্থা লিকুইড ট্যাঙ্ক, সিলিন্ডার, সিলিন্ডার জোগানের গাড়ি, সব ক্ষেত্রেই একসঙ্গে লগ্নি করেন। তারা নিজেরাও সরাসরি হাসপাতালকে অক্সিজেন বিক্রি করে। আবার অনেক সংস্থা বা ডিলারেরা সেই হারে টাকা ঢালেন না। তারা বড় উৎপাদনকারী থেকে কিনে হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুল্যান্স সংস্থা, কিংবা অনুমোদিত অক্সিজেন জোগানের ব্যবসায় যুক্তদের তা বিক্রি করেন। আবার এই ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা ডিলারদের কাছে থেকেই সিলিন্ডারের গ্যাস ভরিয়ে নিয়ে যান। এখন হঠাৎ চাহিদা বাড়ায়, কোথাও কোথাও সেই হারে বাড়তি পরিকাঠামো বাড়ানোর পুঁজির জোগানে টান পড়ছে।