রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। আর রাজভবনে হবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ‘হাতেখড়ি’। আবার কালকে ২৬ জানুয়ারি। দেশজুড়ে পালিত হবে সাধারণতন্ত্র দিবস। বাংলার রেড রোডেও হবে কুচকাওয়াজ। সেখানে দেখা হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। আবার রাজভবনের অনুষ্ঠানেও তাকবেন তিনি। কারণ তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। রাজভবনের পূর্বদিকের লনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজভবনের এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে বেশ চাপে পড়েছে বিজেপি।
কেন চাপে পড়েছে বিজেপি? বাংলার এই নয়া রাজ্যপালকে খুশি নন বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সরকারের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করা নিয়ে নয়াদিল্লিতে নালিশ ঠুকেছেন। স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, লোক দেখানো হাতেখড়ি অবান্তর ব্যাপার। আবার দিলীপ ঘোষ বলেছেন, রাজভবন নির্ভর রাজনীতি তিনি সমর্থন করেন না। কার কাকে কেন ভাল লাগছে সেটা দিল্লি দেখবে। এই সব মন্তব্য করে এখন নিজেরাই বিপাকে পড়েছেন। কোন মুখে রাজভবন বাসিন্দার সামনে মুখ দেখাবেন সেটাই ভেবে উঠতে পারছেন না।
কেন রাজ্যপাল বাংলা শিখবেন? কেরলের বাসিন্দা সিভি আনন্দ বোসের মাতৃভাষা মালওয়ালি। এছাড়া তিনি ইংরেজি এবং হিন্দিতেও লিখতে, পড়তে এবং বলতে সাবলীল। এবার সেটার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে বাংলাও। তাই রাজ্যপাল আনন্দ বোস বাংলা শেখার হাতেখড়ির জন্য বেছে নিয়েছেন সরস্বতী পূজোর দিন। শিক্ষার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী। ইতিমধ্যেই চক, শ্লেট এসেছে রাজভবনে বলে সূত্রের খবর।