ফের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ২ যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই। ঘটনা নদিয়ার চাপড়া থানা এলাকার রুইপুরের। এমনকী প্রতারিত যুবকদের কাছ থেকে নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা পঞ্চায়েত প্রধান তারক বিশ্বাস গুনছেন, সেই ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পরই অভিযুক্ত নেতার দায় ঝেড়ে ফেলেছে তৃণমূল।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় চাপড়ার রুইপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলি প্রধান তারক বিশ্বাসের টাকা গোনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ভিডিয়োয় দেখা যায়, একটি বিছানায় রাখা বান্ডিল বান্ডিল টাকা। আর টাকার একটি বান্ডিল গুনছেন তারক বিশ্বাস। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে তারক বিশ্বাসের ভাই বিদেশ বিশ্বাসকেও। এর পরই স্থানীয় যুবক প্রসেনজিৎ ঘোষ ও সুব্রত ঘোষ পুলিশে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তাঁরা জানিয়েছেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তারক বিশ্বাস ও বিদেশ বিশ্বাস। তাদের দাবি, বনদফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা করে নিয়েছে তারা। এর পর তাদের ইমেইলে একটি ভুয়ো নিয়োগপত্র পাঠায় বিদেশ। এর পর ট্রেনিংয়ের নাম করে গাড়ি করে তাদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায়। জানায়, ৩ মাস প্রশিক্ষণের পর বেতন পাবে তারা। প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় এক সরকারি আধিকারিককে। পরে জানা যায়, সেই যুবক তারক বিশ্বাসেরই ছেলে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বনদফতরের আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয়পত্র। এর পর বিদেশ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগকারী প্রসেনজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, আমাদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে তারক ও বিদেশ। অনেকের সঙ্গে এই কাজ করেছে তারা। টাকা ফেরত চাইলে খুনের হুমকি দেয়। তাই সাহস করে কেউ পুলিশে অভিযোগ করতে পারেনি।
চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলেন, এর সঙ্গে দলের যোগাযোগ নেই। কেউ প্রতারণা করে থাকলে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। বিজেপির দাবি, এই টাকার ভাগ কালীঘাটে যায়। তাই পুলিশ কিছু বলে না। এখন ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গেছে বলে তৎপরতা দেখাচ্ছে।