বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন সাত আইনজীবী। তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করল কলকাতা হাই কোর্ট। যদিও অভিযুক্ত আইনজীবীরা দোষী সাব্যস্ত হলেও তাঁদের শাস্তি দেওয়ার পথে হাঁটেনি হাইকোর্ট। আপাতত সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হল। হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে।
আরও পড়ুন: শিশুকে ধর্ষণ-খুন, ২০১৩-র ঘটনায় দোষীর মৃত্যুদণ্ড রদ, যাবজ্জীবন সাজা দিল হাইকোর্ট
ঘটনা বনগাঁ আদালতের। ২০২৪ সালের ৫ এপ্রিল ঘটেছিল। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট-২ বিচারক সোমা চক্রবর্তীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠছিল আইনজীবীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে আদালতের কয়েকজন আইনজীবী দুর্ব্যবহার করেন, হেনস্থা করেন। বিচারক নিজে বিষয়টা জেলা জজকে জানান। সেখান থেকে রিপোর্ট যায় হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে।তখনই নড়েচড়ে বসে হাইকোর্ট।
বিচারককে হেনস্থার বিষয়টির গুরুত্ব দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শুরু হয় আদালত অবমাননার মামলা। তদন্তে উঠে আসে সাতজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক ছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শাব্বির রশিদির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই মুহূর্তে কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তবে আবার এমন কিছু হলে, তখন আর রেহাই দেওয়া হবে না। তখন নতুন মামলা করে, পুরনো নথি সঙ্গে নিয়ে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমনই হুঁশিয়ারি দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের প্রশাসনিক বিভাগে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে এই মামলায় অভিযুক্ত আইনজীবীরা পরে ক্ষমা চেয়ে হলফনামাও জমা দেন। উল্লেখ্য, এর আগেও বসিরহাট আদালতে বিচারককে হেনস্তার ঘটনায় ২১ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা হয়েছে। সেই মামলা এখনও ঝুলে আছে। সব মিলিয়ে হাইকোর্ট এবার একটা কড়া বার্তাই দিল। আদালতের নির্দেশে স্পষ্ট, কোনও বিচারককে হেনস্থা করলে ছাড় নেই। কড়া পদক্ষেপের পথেই হাঁটবে কলকাতা হাইকোর্ট।