কলকাতা পুরসভার একবালপুর এলাকার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওই বেআইনি বাড়িটি অবস্থিত। এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিংহ বাড়িটিকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ভেঙে ফেলতে বলেছেন। একইসঙ্গে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজে যাতে কোনও বাধার সৃষ্টি না হয় তার জন্য প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিতে বলেছেন কলকাতা পুরসভাকে।
অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বরাবরই কড়া মনোভাব দেখিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হাওড়ার লিলুয়া একটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও একটি বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া মনোভাব দেখাল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিংহ কলকাতায় একটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার একবালপুর এলাকার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওই বেআইনি বাড়িটি অবস্থিত। এই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিংহ বাড়িটিকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ভেঙে ফেলতে বলেছেন। একইসঙ্গে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজে যাতে কোনও বাধার সৃষ্টি না হয় তার জন্য প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিতে বলেছেন কলকাতা পুরসভাকে। এরজন্য বন্দর এলাকার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার যাতে প্রয়োজনীয় পুলিশবাহিনী দেন সে বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হাওড়ার লিলুয়ায় বালি পুরসভার অধীনে যে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে বলেছিলেন সেই মামলাটি আগে উঠেছিল বিচারপতি অমৃতা সিংহের একক বেঞ্চে। সেই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিংহ অবৈধ নির্মাণটি ভেঙে দিতে বলেছিলেন। পরে নির্মাণ সংস্থা সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। তখন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে। তবে সেই অবধি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন পুরসভার কর্মীরা। তখন পুরসভা আবার পুলিশের সাহায্য চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। বৃহস্পতিবার সেই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ২৯৫ স্কোয়ার মিটারের ওই বেআইনি নির্মাণটি ভেঙে ফেলতে হবে। তাতে কেউ বাধা দিলে লিলুয়া থানার পুলিশকে তাকে গ্রেফতার করবে।