সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ রাজ্য সরকার আগে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের কপি দেখবে এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেবে। আর কলকাতা হাইকোর্টে বাসমালিক সংগঠন কবে তাঁদের বক্তব্য জানাবে, তার উত্তরে আদালত কি বলবে সেটা মেনে ভাড়া নেওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ততদিন আদালতের রায় মেনে ভাড়া নিলে লোকসানে বাস চালাতে হবে।
বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস
কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বাস ভাড়া নিয়ে জানান, রাজ্য সরকারের ঠিক করে দেওয়া ভাড়ার থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া যাবে না। ২০১৮ সালে বাস ভাড়া নিয়ে শেষবার তালিকা প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। বাস এবং মিনিবাসের জন্য ভাড়ার সেটাই ছিল পরিবহণ দফতরের শেষ তালিকা। সুতরাং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এখনও সেই ভাড়াই নিতে হবে। এমনকী আগামী একমাসের মধ্যে প্রত্যেকটি বেসরকারি বাস এবং মিনিবাসে ভাড়ার তালিকা ঝোলাতে হবে বলে নির্দেশে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর অভিযোগ জানাতে এলাকাভিত্তিক টোল ফ্রি ফোনের নম্বর প্রত্যেকটি বাসের ভিতরে–বাইরে লিখে রাখতে হবে।
আদালতের রায় মানবেন তো বাস মালিকরা? বাস মালিকদের একাধিক সংগঠন সূত্রে খবর, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বাধ্যতামূলক মানতে হলে তাঁদের ২০১৮ সালের বাস ভাড়া মেনে এখন বাস চালাতে হবে। কিন্তু পাঁচ বছরে ব্যাপক বেড়েছে জ্বালানীর দাম। একইসঙ্গে বেড়েছে বাসের যন্ত্রাংশের দামও। এত খরচ ২০১৮ সালের ভাড়া নিয়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই বাস রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনও পথ নেই। তার জেরে বড় ভোগান্তির মুখে পড়তে চলেছেন নিত্যযাত্রীরা। তখন বাসের জন্য ৭ টাকা এবং মিনিবাসের জন্য ৯ টাকা ভাড়া ছিল। সেখানে এখন বাসে পা দিলেই গুণতে হচ্ছে ১০ টাকা এবং মিনিবাসের ক্ষেত্রে ১২ টাকা।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন এখান থেকে বাস ভাড়া নামিয়ে আনলে লোকসানে তা চালাতে হবে। সেটা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই প্রতি স্টেজে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে বেসরকারি বাসমালিক সংগঠন। সেটা এখন যাত্রীদের আছে অতিরিক্ত বোঝা বলে মনে হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে বাসমালিক সংগঠন চাইছে, নিজেদের বক্তব্য লিখিত আকারে বিচারপতির সামনে তুলে ধরতে। তাহলেই একমাত্র এই ভাড়া সমস্যার সমাধান হতে পারে। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী প্রত্যুষ পাটোয়ারি। শুনানিতে তিনি দাবি করেন, রাজ্য মোটর ভেহিকেলস আইনের ৬৭ নম্বর ধারা অগ্রাহ্য করে যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।