এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অথচ সেই ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তের স্ত্রীকে মূল সাক্ষী করেছে পুলিশ। তা জেনে কার্যত অবাক হয়ে যান বিচারপতি। সেই সংক্রান্ত মামলায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তাঁর মন্তব্য, ‘তদন্তের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে।’ এ সংক্রান্ত মামলায় তদন্তকারী অফিসারকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: অকারণে শ্লীলতাহানির অভিযোগ যোগ করে হাইকোর্টে ধমক খেলেন পুলিশ অফিসার
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি নদিয়ার কালীগঞ্জের। মিগরাইল শেখ নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে এলকার এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। গত ১৮ অগস্ট ওই তৃণমূল কর্মী তরুণীকে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ। তরুণীর আরও অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই তাকে উত্যক্ত করছিল অভিযুক্ত। এরপর গত ১৮ অগস্ট তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবার ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও কাজ করেনি বলেই অভিযোগ। অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশি তদন্তে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পরবর্তীতে তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। অভিযুক্তের স্ত্রীকে সাক্ষী করা নিয়ে অবাক হয়ে যান বিচারপতি। তখন তিনি পুলিশকে ভর্ৎসনা করে মন্তব্য করেন, ‘তদন্তের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে।’