বুড়িমার চকোলেট বোম। গোটা বাংলার নজর কেড়েছিল এই চকোলেট বোমা।একেবারে কান ফাটানো আওয়াজ ছিল সেই বাজির। তবে বর্তমানে সেই চকোলেট বাজি আর ফাটানোর নিয়ম নেই। কিন্তু তা বলে বুড়ি মার পরবর্তী প্রজন্ম হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন এমনটা নয়। এবার তাঁরা বাজারে এনেছিলেন অমর আকবর অ্যান্টনি।অনেকেই ছোটবেলায় দোদমা ফাটিয়েছেন। আর এটা হল অনেকটা ত্রিদোমা। কিন্তু শব্দ সেভাবে হয় না। তিনবার ফাটে আকাশে। রঙ ছড়াচ্ছে আকাশে। এবার কালীপুজোর রাতে এই ট্রিপল বাজির চাহিদা ছিল তুঙ্গে। এই ত্রিবাজি তৈরি করে বাজার মাত করে দিল বুড়িমার বাজি কোম্পানি।আসলে শব্দবাজির বিরুদ্ধে কড়াকড়ি হওয়ার পর থেকেই ব্যবসার গতি প্রকৃতি বদলে ফেলেন বুড়িমার বর্তমান প্রজন্ম। আসলে বহু লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছে এই পরিবার। জীবনের ওঠা পড়াকে খুব কাছ থেকে দেখেছে এই পরিবার। বাংলাদেশ থেকে ছিন্নমূল হয়ে এসে এপার বাংলায় নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য়ে দিয়ে নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করতেন বুড়িমা। তাঁর আসল নাম অন্নপূর্ণা দাস। বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় জন্মেছিলেন। পরে পশ্চিম দিনাজপুরের ধলদিঘির সরকারি ক্যাম্পে এসে ওঠেন। বিড়ির ব্যবসা থেকে ক্রমে বাজির ব্যবসায় চলে আসেন তিনি। ধলদিঘি থেকে গঙ্গারামপুরে চলে গিয়েছিলেন। পরে মেয়ের বিয়ে দেন হাওড়ার বেলুড়ে। সেখানেই পাকাপাকিভাবে বাজির ব্যবসা শুরু করেছিলেন। কার্যত একটা সময় বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছিল বুড়িমার চকোলেট বোম। কিন্তু দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কড়াকড়ির জেরে শব্দবাজি থেকে সরে আসেন তাঁরা।বুড়িমার এই লড়াইয়ের সঙ্গে পরিচিত নন অনেকেই। এই সফল ব্যবসার পেছনে যে কত পরিশ্রম রয়েছে তা হয়তো অনুভব করতে পারেন না অনেকেই। তবে বুড়িমার বর্তমান প্রজন্ম আইন মেনে এই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন।এবার কালীপুজোয় তাঁরাই নিয়ে এলেন রঙিন চরকা, বেঙ্গল ডি লাইট, ফাইভ ফলস সহ নানা সবুজ বাজি। মানে এই বাজিতে রঙ ছড়াবে কিন্তু শব্দ দুষণ হবে না।