হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যার পরেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছে তাঁর পরিবার। গত বুধবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে নিতে বলে হুমকি ফোন এসেছিল আনিসের দাদা সাবির খানের কাছে। সেই ঘটনায় শনিবার আমতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন সাবির খান। অজ্ঞাত পরিচয় যে ব্যক্তি ফোন করেছিলেন তার সঙ্গে আনিসের খুনের যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছেন দাদা সাবির খান। সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিনি পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে আনিসের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, ‘সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে না নিলে পরিবারের সকলকে শেষ করে দেওয়া হবে।’ এরপরের দিনই দেখা যায় অন্য আরেকটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে সেই ব্যক্তি আনিস খানের দাদার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। সাবির খান পুলিশকে জানানো লিখিত অভিযোগে দুটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করেছেন। সাবির খান জানিয়েছেন, ‘আমি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। দুটি ফোন নম্বরই উল্লেখ করেছি।’ আনিসের দাদা জানিয়েছেন, তিনি ওসির পরামর্শেই এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একদিকে, সিট এই ঘটনার তদন্ত করছে তারওপর সিবিআই তদন্তের দাবিতেই অনড় রয়েছেন আনিসের পরিবার। রাজ্য সরকারের তদন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আনিসের বাবা সালেম খান। আজ শনিবার আনিসের দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করার কথা থাকলেও স্থানীয়রা তাঁর দেহ তুলতে বাধা দেন। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। যার জেরে খালি হাতেই পুলিশকে ফিরে যেতে হয়। যদিও এ প্রসঙ্গে আনিসের বাবা দেহ চুরির অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানিয়েছিলাম আমি নিজে উপস্থিত থেকেই ছেলের দেহ তোলাব। কিন্তু, ভোরের অন্ধকারে দেহ তোলা মানে তো দেহ চুরি করার মতোই হল।’