চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে এসএসসি অফিস পর্যন্ত মিছিলে ছুটলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সল্টলেকের বাড়িতে ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের সঙ্গে তিনি কথাও বললেন। আর দাবি করলেন, এখনও যোগ্য–অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব। রাজ্যের সহযোগিতা মিললেই তা করে দেওয়া যাবে বলে প্রাক্তন বিচারপতির মত। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আইনি পরামর্শের জন্য আজ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন চাকরিহারাদের একাংশ। আর সেখান থেকেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, চাকরিহারাদের নিয়ে এসএসসি অভিযানে যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে এই অভিযানের কথা বলেই তড়িঘড়ি ছুটে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু আজ, মঙ্গলবার বিকেলে চাকরিহারাদের নিয়ে এসএসসির দফতরে পৌঁছন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীও। যদিও এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা পাননি তাঁরা। সুতরাং খালি হাতে ফিরতে হল তাঁদের। তখন মিছিল থেকে সংবাদমাধ্যমকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে এসএসসি ইস্যুতে। এসএসসি যোগ্য–অযোগ্যর তালিকা প্রকাশ করলে চাকরি ফিরে পেতে পারেন যোগ্যরা। ২০১৬ সালের এসএসসি’তে অংশগ্রহণকারী সমস্ত পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে আপলোড করলেও হবে।’
আরও পড়ুন: মিছিলে ইজরায়েলের পতাকা ব্যবহার করার অভিযোগ, অর্জুনের বিরুদ্ধে এফআইআর শ্যামের
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু এটাই এখন ইস্যু করে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। আজ চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলার পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বিজেপির সাংসদের বক্তব্য, ‘যোগ্যদের চাকরি বাঁচানোর দায় মুখ্যমন্ত্রীরই। তাঁর জন্যই যোগ্য–অযোগ্য বাছাই করা যাচ্ছে না। এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের হাত–পা বেঁধে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগ্য–অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ্যে আনতে দেওয়া হচ্ছে না রাজনৈতিক কারণেই।’