তারা তিন ভাই। জন্ম হয়েছিল - একই দিনে, একই সময়ে (২০০৮ সালে), মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে! হ্যাঁ, তারা 'ত্রিতয়'! যাদের ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয়, ট্রিপলেটস! এবছর একইসঙ্গে মাধ্যমিক দিয়েছিল তারা। ভালোয় ভালোয় পাস করে গিয়েছে তিনজনই। তবে, তিন ভাইয়ের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরের কিছুটা ফারাক থাকায় সামান্য় হলেও মন খারাপ তাদের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা - দাশগুপ্ত পরিবারের তিন সন্তানের নাম - সম্রাট, সৈকত এবং সাগ্নিক। তিনজনই স্থানীয় খয়েরুল্লাচক নেতাজি বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। এত দিন একইসঙ্গে একই স্কুলের একই ক্লাসে পড়াশোনা করেছে তারা। তবে ট্রিপলেটস হলেও তিনজনকে দেখতে যে হুবহু এক, তা নয়। তিনজনের চেহারায় ফারাক বেশ স্পষ্ট। এবারের মাধ্যমিকে এই তিন ভাইয়ের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে - ৬২৭, ৫৮৫ এবং ৫৯৭।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে - তিন ভাইয়ের বাবা প্রবীর দাশগুপ্ত স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী এবং তাদের মা মণিকা দাশগুপ্ত গৃহবধূ। তিন ছেলে ভালোয় ভালোয় মাধ্যমিক পাস করায় স্বভাবতই খুশি তাঁরা। কিন্তু, সমস্যা হল - তিনজনই বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। সেটা বেশ খরচ সাপেক্ষ। তাই, আপাতত একটু হলেও উদ্বেগ রয়েছে দাশগুপ্ত দম্পতির মনে।
জানা গিয়েছে, এই তিন ভাইয়ের মধ্যে সাগ্নিকের ছবি আঁকাতেও ঝোঁক রয়েছে। বাকি দু'জনের তেমন কোনও পছন্দ না থাকলেও তিনজনই পড়াশোনা করতে ভালোবাসে। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি দু'জন গৃহশিক্ষর তাদের পড়াতেন। পড়াশোনায় সাহায্য করতেন বাবা-মাও।