গতকাল আইএসএফ মিছিল করে বেকবাগানে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে যেতে চেয়েছিল। সেখানে পুলিশ তাদের মিছিল আটকে দিয়েছিল। সেই আবহে আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা সেখানেই বসে পড়েছিলেন। এর আগে গত পরশু বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছিল বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে। এই আবহে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভারত সরকারের কাছে আরও নিরাপত্তা প্রদানের দাবিও জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় বাংলাদেশের দেপুটি হাইকমিশনের সামনে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে কলকাতা পুলিশ। দিল্লিতেও বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। (আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশে যা হচ্ছে...', আবেগ ভরা মন্তব্য নওশাদের, বড় পদক্ষেপ তাঁর দলের)
রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনের নিরাপত্তার নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। এছাড়াও থাকবেন ২ জন ইন্সপেক্টর। ৬ জন করে এএসআই এবং এসআই পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে ৩০ জন লাঠিধারী কনস্টেবল থাকবেন ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে। অপদিকে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে দিল্লি পুলিশের র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। হাইকমিশনের সামনে কোনও ধরনের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হাইকমিশনের প্রবেশপথে ব্যারিকেড রাখা হয়েছে।
এদিকে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি বিবৃতি প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়, বিক্ষোভে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে ঢাকা। 'মনে হচ্ছে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ডেপুটি হাইকমিশনের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার জন্য সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নিতে ভারত সরকাকে আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। বাংলাদেশে সরকার সমস্ত রকমের হিংসার বিরোধী। কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনের ও ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের বাকি কূটনৈতিক অবস্থানগুলিতে যাতে কূটনীতিবিদরা সুরক্ষিত থাকেন, তা নিশ্চিত করার জন্যে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে।'
এদিকে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন এবং দিল্লিতে সেই দেশের হাইকমিশনের সামনে নিরাপত্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঢাকাকে চিন্ম প্রভু ইস্যুতে নতুন করে বার্তা পাঠিয়েছে দিল্লি। সেখানে চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে চলা মামলায় যাতে ধৃত সন্ন্যাসী সব ধরনের আইনি সহায়তা পান, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে। এই নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, 'এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট – অন্তর্বর্তী সরকারকে (বাংলাদেশের) অবশ্যই সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা চরমপন্থী বক্তৃতা, হিংসা এবং উস্কানির ঘটনা বৃদ্ধির আবহে উদ্বিগ্ন। এই সব ঘটনাকে মিডিয়ার অতিরঞ্জিত ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। আমরা আবারও বাংলাদেশকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।'