গত ৯ অগস্ট সেমিনার রুমে চিকিৎসকের মৃতদেহের আশেপাশে দেখা গিয়েছিল লালশার্ট পরিহিত এক ব্যক্তিকে। দাবি করা হচ্ছে, সেই ব্যক্তি নাকি সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক অভীক দে। এবার সেই অভীক দে-র বিরুদ্ধে উঠল আরও অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে, গত ৮ অগস্ট থেকেই অভীক দে নিজের কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এবং সেই বিষয়ে নিজের বিভাগীয় প্রধানকে কিছু জানাননি। এই আবহে ৮ অগস্ট থেকে অভীক দে কোথায় ছিলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই অভীক দে-কে জেরা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, অভীক দে এসএসকেএমের শল্য বিভাগের পিজিটি। (আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর তরুণীর দেহ ৫০ টুকরো করে বাংলার কেউ… তেমনই দাবি মন্ত্রীর, সামনে নাম)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উলটো করে ঝোলানোর হুঁশিয়ারি দেওয়ায় শাহে ক্ষুব্ধ ঢাকা!
আরও পড়ুন: পুজোর আগে বড় রায় আদালতের, দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলবে বকেয়া,হাসি সরকারি কর্মীর মুখে
উল্লেখ্য, ৮ অগস্ট গভীর রাত বা ৯ তারিখ ভোররাতে খুন হয়েছিলেন আরজি করের সেই তরুণী চিকিৎসক। এই আবহে ৮ তারিখ থেকে কেন অভীক নিজের হাসপাতালে ছিলেন না? সেদিন তিনি কোথায় ছিলেন? সিবিআই অফিসারা এই সব প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন। এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছে ওই চিকিৎসক-পড়ুয়া সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের তৎকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে চিঠি পাঠিয়ে বিস্তারিত জানান এসএসকেএমের ডিন অভিজিৎ হাজরা। সেখানেই জানা যায়, ২০ দিনের ওপর নিজের কাজে অনুপস্থিত থালেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নেননি অভীক। এমনকী কিছু জানাননি পর্যন্ত। এদিকে জানা গিয়েছে, নিয়মমাফিক এসএসকেএমে রেজিস্ট্রেশনও করাননি অভীক দে। (আরও পড়ুন: পুজোর আগে লোকাল যাত্রীদের জন্য স্টেশনগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা, জানাল পূর্ব রেল)
আরও পড়ুন: জ্বালানি ট্যাঙ্কে ফুটো, মাঝ আকাশে বিপত্তি! ২৩১ যাত্রী নিয়ে কলকাতায় অবতরণ বিমানের
এরই মাঝে গত ২১ এবং ২২ সেপ্টেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়েছিল অভীক দে-কে। দাবি করা হয়, রাতে জেরা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোতে চাইছিলেন না চিকিৎসক অভীক দে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা এড়িয়ে সিজিও-তেই বিভিন্ন জায়গায় লুকোচুরি করতে দেখা যায় অভীককে। দাবি করা হয়, অ্যাপ ক্যাব বুক করেও দীর্ঘ টালবাহানার পর সেটি বাতিল করেন অভীক। তারপরে প্রায় মধ্যরাতের দিকে কোনওক্রমে সিজিও থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের লোকজন দেখেই রুদ্ধশ্বাসে দৌড় লাগান তিনি।
আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে আর যাত্রী নিয়ে ছুটবে না ট্রাম, মামলার মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত সরকারের
এর আগে গত ৯ অগস্ট তরুণী চিকিৎসক খুনের পরে আরজি কর মেডিক্যালের সেমিনার রুমে 'বহিরাগত' থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই বিতর্কে নাম জড়িয়েছে অভীক দে-র। দাবি করা হয়, সেমিনার রুমে 'রহস্যজনক লাল জামা' ব্যক্তি ছিলেন এই অভীক। যদিও পুলিশ প্রথমে তাকে 'ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট' বলে দাবি করেছিল। সেই মর্মে অন্য একজনের নামও প্রকাশ করেছিল পুলিশ। তবে আইএমএ-র তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, সেই লাল জামা ব্য়ক্তি অভীক দে। এই আবহে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভীকের বিরুদ্ধে হুমকির সংস্কৃতি পরিচালনার অভিযোগও ওঠে। আর বিতর্কের মাঝে সম্প্রতি অভীককে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর।