লকডাউনের সময় এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত গরীব মানুষদের দুপুরের অন্নসংস্থানের জন্য মা ক্যান্টিনের স্টল তৈরির হয় শহরের বিভিন্ন জায়গায়। কোভিড পরিস্থিতে কেটে গেলেও পুরসভার সমাজকল্যাণ বিভাগের আয়োজনে এই স্টল বন্ধ করা হয়নি।
লকডাউনের সময় শুরু হয় মা ক্যান্টিন
কলকাতা শহরের প্রায় দুকোটির কাছাকাছি মানুষ মা ক্যান্টিন থেকে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। লকডাউনের সময় এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত গরীব মানুষদের দুপুরের অন্নসংস্থানের জন্য মা ক্যান্টিনের স্টল তৈরির হয় শহরের বিভিন্ন জায়গায়। কোভিড পরিস্থিতে কেটে গেলেও পুরসভার সমাজকল্যাণ বিভাগের আয়োজনে এই স্টল বন্ধ করা হয়নি। বিভাগের আধিকারিকদের আশা আগামী দিনে মা ক্যান্টিনের সুযোগ গ্রহণকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ পরিসংখ্যান কারচুপি করে দেখানো হয়েছে।
পুরসভার তথ্য অনুযায়ী কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৮টিতে মা ক্যান্টিন রয়েছে। এই ক্যান্টিনগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত ১কোটি ৮৫লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৯০টি ডিশ বিক্রি হয়েছে। মাত্র পাঁচ টাকায় এই ক্যান্টিন থেকে পাওয়া যায় ভাত, ডাল, ডিম। লকডাউনের সময় প্রথমদিকে শুধু শহরে মা ক্যান্টিন চালু হয়েছিল পরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন জেলাতে চালু হয়।
তবে বিরোধীদের অভিযোগ শহরের একাধিক জায়গায় মা ক্যান্টিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার দেওয়া পরিসংখ্যানও সঠিক নয় বলে দাবি তাদের। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর ওয়ার্ডে আগে দুটো মা ক্যান্টিন চলত এখনও একটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন ডিশ বিক্রির সংখ্যাও বাড়িয়ে দেখানো হয়। এটাও একটা দুর্নীতি।'