দ্রোহের দুর্গাপুজোর অনেকটা সময় তছনছ করেছে বৃষ্টি। বৃষ্টির জেরে বিপাকে পড়তে হয়েছে আন্দোলনকারী থেকে পুজো উদ্যোক্তা প্রত্যেককেই। দুর্গাপুজোর পর এবার লক্ষ্মীপুজোতেও চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি। লক্ষ্মীপুজোর রাতে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা।
আরও পড়ুন - ‘বাংলায় ন্যায়ের জন্য লড়াই জারি থাকবে’, দুর্গাপুজোয় কলকাতা এসে বার্তা নড্ডার
পড়তে থাকুন - কার টাকায় সঞ্জয় রায় মদ খেয়েছিল? আরজি কাণ্ডে সিবিআই চার্জশিটে নয়া মোড়
পূর্বাভাস অনুসারে, লক্ষ্মীপুজোর আগে রাজ্য থেকে মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহার হয়ে যেতে পারে। তারই মধ্যে সাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে জলীয় বাস্প। উত্তররের শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে সমুদ্র থেকে আসা জলীয় বাস্পের সংঘাতে তৈরি হতে পারে বজ্রগর্ভ মেঘ। যার জেরে ১৬ অক্টোবর, লক্ষ্মীপুজোর দিন পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু লক্ষ্মীপুজোর দিন নয়, তার পরে কয়েক দিনও একই আবহাওয়া জারি থাকবে উপকূলের ৩টি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গে থাকবে ঝলমলে আকাশ।
বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমার কর্ণধার রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন, বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন - আলিপুর চিড়িয়াখানায় নতুন আকর্ষণ দক্ষিণ আমেরিকার আলপাকা, উদ্ধার করেছিল BSF
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপ আকারে আগামী ১৭ অক্টোবর তামিলনাড়ু - অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর পর তার অবশিষ্টাংশ বয়ে যেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে যার জেরে কালীপুজোর মুখে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নিম্নচাপের প্রভাব কাটলে আগামী ২৩ বা ২৪ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গ থেকে মৌসুমী বায়ু প্রত্যাহার হতে পারে। তেমন হলে স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ২ সপ্তাহ দেরিতে দক্ষিণবঙ্গ থেকে মৌসুমী বায়ু বিদায় নেবে।