কংগ্রেসের অন্দরে কয়েক মাস ধরেই বিষয়টি আলোচিত হচ্ছিল। এবার নির্বাচন কমিটির নয়া সিদ্ধান্ত কী হয় তার উপর নির্ভর করছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ভাগ্য। তিনি আর প্রদেশ সভাপতি থাকবেন কিনা সেটা নির্ভর করছে নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি কে হচ্ছেন তার উপর। যদি দেখা যায় গান্ধী পরিবারের কাছে কেউ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন তাহলে অধীরের পদ থেকে যাবে। আর সেটা না হলে সরে যেতে হবে প্রদেশ সভাপতির চেয়ার থেকে। এমনই একটা সমীকরণ চর্চিত হচ্ছে কংগ্রেসের অন্দরে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কি হয়।
কবে বিষয়টি জানা যাবে? অক্টোবর মাসে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন। ফলে তারপরই জানা যাবে কে ওই পদে বসছেন। আর তারপরই অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকবেন নাকি থাকবেন না সেটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখন গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতির দায়িত্বে আনা হোক এমন দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরে। একইসঙ্গে সোনিয়া গান্ধী–রাহুল গান্ধী সরে দাঁড়াতে চেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বেশ চাপে আছেন বহরমপুরের সাংসদ বলে সূত্রের খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? অধীররঞ্জন চৌধুরী শীর্ষ নেতৃত্বের অনেক কাজই করে উঠতে পারেননি। বাংলায় কংগ্রেসের সংগঠন তৈরি করা থেকে সদস্য বাড়ানো কোনওটিই চোখে পড়ার মতো ঘটেনি। সেক্ষেত্রে শীর্ষ নেতৃত্ব খুশি নয়। নির্বাচনেও নেতৃত্ব দিয়ে বড় কোনও সাফল্য আসেনি। আর বাংলায় তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বেশ সক্রিয়। তাই তাঁরা নয়াদিল্লিকে চিঠি লিখে অধীরের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকেছেন। তাই সবদিক বিচার করলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ চলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে।