আনিস খানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কেন্দ্রিক মুসলিম তোষণের অভিযোগ তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এদিন প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে অধীরবাবু বলেন, ‘রিজওয়ানুরের আত্মহত্যার ঘটনায় যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকেই আনিস খান হত্যার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ মমতাকে অধীরের কটাক্ষ, ‘ভোটের সময় মুসলমান, ভোট ফুরালে জাহান্নম।’রবিবার হাওড়ার আমতায় আনিস খানের বাড়ি যান অধীরবাবু। সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের নবনিযুক্ত পর্যবেক্ষক। সেখানে আনিসের পরিবারকে রাষ্ট্রপতি, মানবাধিকার কমিশন ও সংখ্যালঘু কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। আনিসের মৃত্যুর বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করবেন বলেও জানান লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা। এর পর প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাছা বাছা বিশেষণে বেঁধেন তিনি।অধীরবাবু বলেন, ‘আনিসের মৃত্যু সারা বাংলার মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। মানুষ জানতে চাইছে রহস্য কী। কিন্তু ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। লুকোচুরি খেলা চলছে। বাংলার প্রতিবাদী যুবককে হত্যার ঘটনা তৃণমূল সরকার যে ভাবে ধামাচাপা দিচ্ছে তা লজ্জার। সবাইকে বোকা ভাবা হচ্ছে। পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। খরিদ করারও চেষ্টা চলছে। এতে সরকার সরাসরি যুক্ত’।অধীরের হুঁশিয়ারি, ‘আমরা আদালতে বিচার চাইতে যাব। মানবাধিকার কমিশনে যাব। এটাই বাংলার তৃণমূলের আসল চেহারা। ভোটে মোদি-দিদি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেন। মুসলমান এলাকায় মমতা বন্দোপাধ্যায় বুঝিয়েছিলেন তিনি রক্ষা করবেন। তাহলে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চুপ কেন? আমার প্রশ্ন, ভোটের সময় মুসলমান, ভোট ফুরলেই জাহান্নাম।’