নবান্ন অভিযানকে ঘিরে একেবারে দফায় দফায় অশান্তি। হাতে জাতীয় পতাকা। একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ জলকামান দিয়ে, কাঁদানে গ্যাসের সেল চার্জ করে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এদিকে বহু জায়গায় দেখা গিয়েছে একেবারে সাধারণ আন্দোলনকারীরা বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন পুলিশের জল কামানের সামনে। একেবারে বিপুল পরাক্রমে।
এসবের মধ্যেই বিভিন্ন পয়েন্টে এমন কিছু চিত্র এদিন দেখা গিয়েছে যা শিউরে ওঠার মতো।
১)একেবারে শক্তপোক্ত গার্ডরেলও ভেঙে ফেললেন আন্দোলনকারীরা
২) পুলিশকে তাড়া করলেন আন্দোলনকারীরা। এমনকী হেলমেট পরা এক পুলিশ কর্মীর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তবে পালটা পুলিশও সুযোগ পেয়েই তাড়া করে আন্দোলনকারীদের। একজন আন্দোলনকারীকে পাকড়াও করে পুলিশ।
৩) এক মহিলাকে আচমকাই দেখা যায় যে তিনি একলাই হেঁটে আসছেন পুলিশের ব্যারিকেডের দিকে। এরপর তিনি পুলিশের সামনে আঙুল উঁচিয়ে বলতে থাকেন, আমি ধর্ষিতা হতে চাই না। বাংলার মা বোনেরা ধর্ষিতা হতে চান না। আমায় গুলি করে মেরে ফেলুন। এদিকে ওই মহিলার সামনে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে যান উপস্থিত পুলিশকর্মীরা।
৪)হাওড়া ময়দান এলাকায় আন্দোলনকারীরা বলতে থাকেন আমরা ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। যারাই রক্ষক তারাই ভক্ষক। এই মুখ্য়মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।
৫) তবে বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের একাংশ পুলিশের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করলে বা ইঁট পাথর ছোঁড়া শুরু করতেই তাদের থামিয়ে দেন অন্যান্যরা। যাতে কোনওভাবে আন্দোলন হিংসাত্মক হয়ে না যায় তার সব চেষ্টা করা হয়।
৬) এদিন আন্দোলনের রাস্তায় দেখা য়ায় অর্জুন সিং ও কৌস্তভ রায়কেও। কাঁদানে গ্যাসের সেলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা সারা মুখে কাপড় মুড়িয়ে ছিলেন। কৌস্তভ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে না নামানো পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
৭) প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশন এলাকা চত্বরেও দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে একের পর এক ইঁটবৃষ্টি করা হয়। পুলিশ কখনও লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় কখনও আবার সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়।
৮) শরৎ চ্যাটার্জি রোড থেকে একটি মিছিল আচমকাই নবান্নের খুব কাছাকাছি চলে আসে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।