প্রায়ই অভিযোগ হয়ে উঠে থাকে বড় ব্যবসায়ী ফড়েদের কারণে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক আলুচাষিরা হিমঘরে আলু রাখার জায়গা পান না। সরকারি এই নির্দেশের ফলে সেই অনিশ্চয়তা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নির্দেশের ফলে একজন ক্ষুদ্র বা প্রান্তিক চাষি ২৫ কুইন্টাল পর্যন্ত আলু রাখতে পারবেন।
হিমঘরে আলু রাখা নিয়ে নবান্নের সিদ্ধান্ত। প্রতীকী ছবি
হিমঘরে আলু রাখা নিয়ে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিদের সমস্যা দীর্ঘদিনের। সেই সমস্যা এড়াতে এবার বড় পদক্ষেপ করল নবান্ন। সে ক্ষেত্রে এই সমস্ত আলুচাষিদের জন্য হিমঘরে ২০ শতাংশ জায়গা সংরক্ষিত রাখা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার। এরজন্য হিমঘর মালিকদের ২০ শতাংশ জায়গা ফাঁকা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর জেলাশাসকরা ওই জায়গা ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে বিলি করবেন। কতদিন পর্যন্ত এই পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে সে বিষয়টিও নবান্নের তরফে নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রায়ই অভিযোগ হয়ে উঠে থাকে বড় ব্যবসায়ী ফড়েদের কারণে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক আলুচাষিরা হিমঘরে আলু রাখার জায়গা পান না। সরকারি এই নির্দেশের ফলে সেই অনিশ্চয়তা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নির্দেশের ফলে একজন ক্ষুদ্র বা প্রান্তিক চাষি ২৫ কুইন্টাল পর্যন্ত আলু রাখতে পারবেন। তবে ভাড়ার ক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। যে পরিমাণ ভাড়া রয়েছে সেই পরিমাণ ভাড়া চাষিদের দিতে হবে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আলুচাষিদের যাতে কোনও ধরনের সমস্যা না হয় সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি বৃষ্টির ফলে যাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে তাদের জন্য বিমার সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে এমন পদক্ষেপ। সম্প্রতি কৃষি বিপনন দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে হিমঘরে আলু সংরক্ষণের বিষয়ে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি হিমঘরের ধারণক্ষমতার ২০ শতাংশ জায়গা ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ডস্টোরেজ অ্যাক্টের ২০ সি ধারায় এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।