প্রায় দু’দশক পর পাহাড়ে হবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু সেখানে এখন দেখা যাচ্ছে, ঝিমিয়ে পড়েছে বিজেপি। আর গুরুং বাহিনী কার্যত নিষ্ক্রিয়। উল্টোদিকের ছবিটা হল— এই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ঘাম ঝরাতে শুরু করেছে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা এবং অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। লোকসভা নির্বাচনের আগে অনীত ও অজয়ের কাছে এটাই অগ্নিপরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি কতদূর? দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসন পঞ্চায়েতের আসন সংরক্ষণের এবং সীমানা নির্ধারণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। এখন দার্জিলিং পাহাড়ে ব্লকের সংখ্যা পাঁচটি। যথাক্রমে— পুলবাজার, সুখিয়াপোখরি, রংলি রংলিয়ট, কার্শিয়াং এবং মিরিক। এই পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা ১৫৬টি। এখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৭০টি। তাতে আসন সংখ্যা ৫৯৮। সুতরাং এখানের পঞ্চায়েত নির্বাচন টানটান উত্তেজনার মধ্যে হবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? কালিম্পং জেলার স্বীকৃতি পাওয়ার পর এবারই প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এখানে ব্লকের সংখ্যা চারটি। কালিম্পং–১, লাভা, পেডং এবং গোরুবাথান। এই চারটি ব্লকে আসন সংখ্যা ৭৬টি এবং ৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ২৮১টি। গত ৯ নভেম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির আসনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’