দলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় ২ বছর ধরে ক্ষীণ। বরং গেরুয়া শিবিরের অনেক ঘনিষ্ঠ তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। সোমবার অযোধ্যায় রাম লাল্লার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে তাঁকেই সস্ত্রীক দেখা গেল রাম পুজো করতে। সোমবার সকালে কাঁথি শহরে শিব মন্দিরে পৌঁছন তিনি। সেখানেই আয়োজন হয়েছিল রাম পুজোর। মন্দিরে স্ত্রীর সঙ্গে রামভক্তিতে মাততে দেখা যায় সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকেও।এদিন শীতের কামড়কে উপেক্ষা করে সক্কাল সক্কাল পৌঁছে যান দিব্যেন্দুবাবু ও তাঁর স্ত্রী। মন্দিরের সামনে থেকেই কেনেন ফুল ও পূজার অন্যান্য সামগ্রী। এর পর সাধারণের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দেন তাঁরা। স্ত্রী যখন মন্ত্রোচ্চারণে মগ্ন তখন ঘণ্টা বাজাতে দেখা যায় দিব্যেন্দুবাবুকে।পুজো আর্চা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আজ অত্যন্ত পবিত্র দিন। আমি চাইব দেশ আরও এগিয়ে যাক। প্রভু শ্রীরামচন্দ্রের আশীর্বাদ বর্ষিত হোক। হানাহানি বন্ধ হোক। আজকের দিনটাকে সবাই যেন মর্যাদার সঙ্গে পালন করে আশা রাখব। প্রভু রামচন্দ্র, ভগবান শিব যেন আমাদের দেশকে আরও সমৃদ্ধ করে। দেশের মানুষ আরও এগিয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে আমরা চাঁদে গেছি। সূর্যের দিকে এগোচ্ছি। বিজ্ঞান এগোচ্ছে। সমস্ত সংস্কৃতিবান মানুষরাও এগিয়ে এসেছেন’।তৃণমূলের সম্প্রীতি মিছিল নিয়ে তিনি বলেন, ‘করুক না, সবার অধিকার আছে। মহামান্য উচ্চ আদালত বলে দিয়েছেন, কী করতে হবে আর কী করতে হবে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে মিছিল করলে স্বাগত জানাচ্ছি’।এদিন অধিকারী পরিবারের বাসভবন শান্তিকুঞ্জের পাশে যে রাম পুজোর আয়োজন হয়েছে সেখানেও যাবেন বলে জানান দিব্যেন্দুবাবু।২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন দিব্যেন্দুবাবুর দাদা শুভেন্দু অধিকারী। তার পর থেকে দিব্যেন্দুবাবুর সঙ্গে তৃণমূলের তেমন কোনও যোগাযোগ নেই। দিব্যেন্দুবাবুও বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে দাবি করে লোকসভার স্পিকারের কাছে তাঁর সাংসদপদ খারিজ করার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তমলুক বা কাঁথি আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হতে চলেছেন দিব্যেন্দুবাবু। যে কোনও দিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন তিনি।