রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল গ্রামবাসী। এর জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করার চেষ্টাও করে এলাকাবাসী। আর এতেই পাল্টা চটলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। রাগের মাথায় মারলেন এক বৃদ্ধকেও। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধান মোবারক হোসেনের মেজাজ হারানোর ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই আবহে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল।অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই ও ভাইপোর সংস্থাকে রাস্তা তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল। এদিকে রাস্তা নির্মাণের নামে দখলদারির অভিযোগও ওঠে পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই ও ভাইপোর বিরুদ্ধে। এরই মাঝে রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল গ্রামবামীরা। আর তখনই ঘটনা স্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীদের উপর চটে যান তৃণমূল নেতা মোবারক হোসেন।ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যায়, নির্মিয়মাণ রাস্তার উপরে ফেলে এক বৃদ্ধকে ঘিরে ধরে মারা হচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধানের মুখে অশ্লীল ভাষা। অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হাতে কাঠের বাটাম নিয়ে বাসিন্দাদের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন প্রধান। এক বৃদ্ধকে কাঠের বাটাম দিয়ে মারতে দেখে বাসিন্দাদের বলতে শোনা যাচ্ছে, বয়স্ক মানুষকে কেন মারছেন। যদিও ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে। এদিকে প্রধানের দাবি, তাঁর ভাইপোকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ায় কাঠের বাটাম হাতে বাসিন্দাদের তাড়া করে সরিয়ে দিচ্ছিলেন। পুরো ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর। ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির অভিযোগ, কাটমানি নিয়ে বাসিন্দারা সরব হওয়ায় প্রধান এভাবে আইন তুলে নিয়ে বাসিন্দাদের মারধর করেছেন, শাসিয়েছেন।