ফাঁকা জায়গায় ছাত্রীকে নিয়ে যায় যুবক। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিল যুবকের ২ বন্ধু। রাস্তার পাশে একটি ঝোপে আড়ালে ছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করে তারা। পথ চলতি মানুষের সন্দেহ হওয়ায় ঝোপের পিছনে গিয়ে তারা তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছেলেকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন।
প্রতীকী ছবি
স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে উঠতে বলেছিল তৃণমূল নেতার ছেলে। পরিচিত সেই দাদার কথায় ভরসা করে বীভিষিকাময় গণধর্ষণের শিকার হলেন ছাত্রীটি। ঘটনা বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার নতুনপুকুর গ্রামের। ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতির ছেলে সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল সে। পথে তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলে তাঁকে মোটরসাইকেলে উঠতে বলে। জানায়, বাড়ি পৌঁছে দেবে সে। পরিচিত যুবকের কথায় বিশ্বাস করে মোটরসাইকেলে ওঠে ছাত্রী। এর পর ফাঁকা জায়গায় ছাত্রীকে নিয়ে যায় যুবক। সেখানে আগে থেকেই হাজির ছিল যুবকের ২ বন্ধু। রাস্তার পাশে একটি ঝোপে আড়ালে ছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করে তারা। পথ চলতি মানুষের সন্দেহ হওয়ায় ঝোপের পিছনে গিয়ে তারা তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছেলেকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। তিন যুবককে আটক করে পুলিশে খবর দেয় তারা। পাইকর থানার পুলিশ গিয়ে ৩ জনকে আটক করে। ছাত্রীকে পাঠানো হয় পাইকর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
যদিও ছেলের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। তিনি বলেন, আমার ছেলেকেই ফোন করে ডেকেছিল মেয়েটি। বলেছিল, সমস্যায় পড়েছি। একটু বাড়ি পৌঁছে দেও। সেকথা শুনেই আমার ছেলে তাকে সাহায্য করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এর মধ্যে শুনি কিছু লোক আমার ছেলে ও তার মোটরসাইকেল আটক করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আমার ছেলে ধর্ষণে যুক্ত নয়। উপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি।