ইদানিংকালে রাজ্যের চারিদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের 'বিদ্রোহী'-দের পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। আর তা নিয়ে নানা মুনি নানা মত দিতে শুরু করেছে। মূলত শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, ‘দু’একজন ভুঁইফোড় নেতা কোথায় কী বললেন, আর কোথায় কী করলেন, তাতে কিছু এসে যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাদ দিয়ে কোনও নেতা পশ্চিমবঙ্গে কিছু করতে পারবেন না।’বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এখন অনেকেই 'বিদ্রোহ' করেছেন বা দলবদল করছেন। সেখানে তাঁরা কিছু করতে পারবে না বলেই দাবি কাকলির। শনিবার পশ্চিমবঙ্গ বঙ্গজননী বাহিনীর হাওড়া সদরের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় দাশনগরের আলামোহন দাস ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সাংসদ। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কারও নাম না নিয়ে তিনি বলেন, ‘টাকা থাকলে অনেক পোস্টার ছাপানো যায়। তাদের হয়তো অনেক টাকা। তাই তাঁরা পোস্টার ছাপাচ্ছেন। আমরা তো এত ছাপাতেও পারি না। যারা একসঙ্গে এই ধরনের কাজকর্মে লিপ্ত, তাঁরা যদি মনে করেন তাঁদের ছাড়া চলবে না তাহলে তাঁরা ভুল ভাবছেন।’এখানেও সরাসরি তিনি বিদ্রোহীদের বার্তা দিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের একমাত্র সম্পদ আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট যা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেই হবে। মানুষ ভোট দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানুষ আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সঙ্গে আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দলের সম্পদ। তৃণমূলস্তরের প্রতিটি কর্মী আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। সুতরাং দু'একজন ভুঁইফোড় নেতা কোথায় কী বললেন, আর কোথায় কী করলেন, তাতে কিছু এসে যায় না।’কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, ‘রাজনৈতিক দল থাকলে কারও সঙ্গে কারও মতানৈক্য হতেই পারে। সেটা আবার মিটেও যায়। এটা নিয়ে বিজেপি’র মন্তব্য করার মতো বা উৎফুল্ল হওয়ার কিছু নেই। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়েই তৃতীয়বারের জন্য আমাদের দল ক্ষমতায় আসবে। এই রাজ্যে মহিলারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন। আমরা নিশ্চিতভাবে বঙ্গ জননী বাহিনী মহিলাদের কাছে যাব।’ শনিবার হাওড়া সদর জেলা সম্মেলনে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়া জেলা সদর সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বঙ্গ জননী বাহিনীর হাওড়া জেলা সদরের সভানেত্রী দীপান্বিতা ঘোষ, প্রাক্তন মেয়র পারিষদ বিভাস হাজরা–সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।