তৃতীয়বার হ্যাট্রিক করে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু তার পরও দলের অন্দরে আড়াআড়ি ফাটল মেরামত করা যায়নি। এবার সেই ছবি দেখা গেল মন্ত্রীর সৌজন্যে। আবার বর্ধমান পুরসভার অলিন্দে পা রেখেছেন প্রাক্তন পুরপিতা আইনুল হক। তিনি এখন বর্ধমান পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর উপ পুর–প্রশাসক হিসাবে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। সেই আইনুল হককেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, ‘সিপিআইএমের বদরক্ত ডানপন্থী দলের মাথায় চাপলে তা হজম করা মুশকিল।’ এই মন্তব্যেই প্রকাশ্যে এসেছে ফাটল।২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ক্ষমতায় আসীন হন। তখন রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যেই এক সময়ের বাম শিবিরের পরিচিত মুখ এখন তৃণমূল কংগ্রেসে। তবে মাঝে কিছু সময় বিজেপি শিবিরেও কাটিয়েছেন তিনি। যদিও সেসব পাঠ চুকিয়ে দিয়ে আবার বর্ধমান পুরসভার অলিন্দে আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক হলেন প্রণব চট্টোপাধ্যায়।এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আইনুল হক একুশের নির্বাচনের আগে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূল ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃনমূল কংগ্রেসের পতাকা নেন তিনি। কিন্তু হলে কি হবে, তাঁকে মেনে নিতে পারছেন না সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী শিবির। অথচ আইনুল হককে বর্ধমান পুরসভার উপ পুর–প্রশাসক করা হয়েছে। তার জেরেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিধায়ক খোকন দাসের অনুগামীরা। ঠিক এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির মন্তব্য বিতর্ক তৈরি করল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।