আদালতের রায়ে পদ খোয়ালেন খড়্গপুর-২ ব্লকের কালিয়াড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মানোয়ার আলি। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে জিতে তিনি ওই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তাঁকে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষও করা হয়। কিন্তু ঠিকাদারির অভিযোগে আদালত তাঁর নির্বাচনী বৈধতা খারিজ করে দেয়। ফলে তিনি পদ হারান। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। (আরও পড়ুন: কসবা কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে রয়েছে সাক্ষী, দাবি নির্যাতিতার, কে সেই ব্যক্তি?)
আরও পড়ুন: কলেজের ভিতরেই গণধর্ষণের অভিযোগ TMCP নেতার বিরুদ্ধে,অভিযোগপত্রে কী লিখলেন ছাত্রী?
জানা গিয়েছে, একই আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা সুশান্ত পাল ওরফে বাচ্চু। তিনি বলেন, দল টিকিট না দেওয়ায় বাধ্য হয়েই নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই তিনি অভিযোগ তোলেন, মানোয়ার আলি একজন ঠিকাদার হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে মনোনয়ন পেলেন? ব্লকের রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেও সমাধান না হওয়ায় শেষমেশ তিনি মেদিনীপুর সিভিল কোর্টের দ্বারস্থ হন। (আরও পড়ুন: গলায় কামড়, যৌনাঙ্গে ক্ষত, সামনে এল কসবা কাণ্ডে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: 'NRC' নিয়ে চর্চার মাঝে আধার নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, মাথায় হাত পড়বে কাদের?
সুশান্তের মামলার ভিত্তিতে বিচারক অর্পিতা হাজরা স্পষ্ট বলেন, পঞ্চায়েত আইনে যিনি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে ঠিকাদারি করেন, তিনি ওই স্তরের নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন না। মানোয়ার আলি সেই নিয়ম ভেঙেই মনোনয়ন দিয়েছেন। আদালত তাই ওই আসনের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে।সুশান্তের আইনজীবী কুশল মিশ্র জানান, মানোয়ার আলি মিথ্যে তথ্য দিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। তাঁর ঠিকাদার সংস্থা ‘নসিব কন্সট্রাকশন’ বিভিন্ন কাজের বরাত ও পেমেন্ট পেয়েছে বলেই মামলায় তুলে ধরা হয়। (আরও পড়ুন: ইউনুস যেন 'মৌলবাদের ঢাল', মন্দির ভাঙা নিয়ে ভারতের ধমকের পর মুখ খুলল ঢাকা)